অবতক খবর,নিজস্ব প্রতিনিধি,১০অগাস্ট:: অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই ১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখে দিয়েছেন, বিস্ফোরক বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী।সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়ে বোলপুরের বাড়িতেই রয়েছেন তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি।৯ আগস্ট তাঁকে সিবিআই ফের নোটিশ দিয়ে যায়৷ এরপরেই বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িতে এসে তাঁর চিকিৎসা করেন। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।

গোরু পাচার মামলায় ৮ আগস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল সিবিআই। হাজিরা এড়িয়ে সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান তিনি৷ সেখান থেকে বোলপুরে নীচুপট্টীর বাড়িতে চলে আসেন৷ ওই দিনই ফের সিবিআই নোটিশ দিয়ে এদিন হাজিরা দিতে বলেন৷ কিন্তু, দেখা যায় নোটিশ পাওয়ার পরেই বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যক, নার্সরা অনুব্রত মণ্ডল বাড়িতে এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। সাদা কাগজে ১৪ দিনের বেড রেস্ট নেওয়ার কথা লিখে দেন চিকিৎসক।

সরকারি হাসপাতাল থেকে কিভাবে চিকিৎসক এসে কারও চিকিৎসা করে যেতে পারেন, এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে৷ যা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়।
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, “আমি সরকারি কর্মচারী। সুপারের নির্দেশ মানতে বাধ্য৷ সুপারের নির্দেশেই গিয়েছিলাম৷ উনি বলে দিয়েছিলেন সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখে দিতে৷ চিকিৎসা করার সময় অনুব্রত মণ্ডল অনুরোধ করেন ১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখে দিতে৷ তাই লিখে দিয়েছি।”

এভাবেই বিস্ফোরক চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। সিবিআই হাজিরা এড়াতেই যে প্রভাব খাটিয়ে চিকিৎসকদের ডাকা হয়েছিল, তা কার্যত স্পষ্ট হচ্ছে৷