অবতক খবর,৭ জানুয়ারি,গঙ্গাসাগর: রাজ্যে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই অতি মহামারী পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখার জন্য ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করার জন্য রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কিন্তু অতি মহামারী বাড়বাড়ন্তে গঙ্গাসাগর মেলার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও। গঙ্গাসাগর চূড়ান্ত প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষের দিকে।

কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে। বাড়তি সর্তকতা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। 10 ই জানুয়ারি থেকে গঙ্গাসাগর মেলা উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। উদ্বোধনের আগেই সমস্ত প্রস্তুতি সেরে নিতে চাইছে জেলা প্রশাসন। রাজ্যে যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সে কথা মাথায় রেখে গঙ্গাসাগর মেলা কে নিরাপদে সুসম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর মেলা পর্যন্ত পুণ্যার্থীদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় থাকবে আর্টিফিশিয়াল টেস্টের সুযোগ। বাড়ানো হয়েছে সেভ হোমের সংখ্যা। পুণ্যার্থীরা মাস্ক ব্যবহার করার কথা বলেছে।

গঙ্গাসাগরে তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে গণপরিবহনের সঙ্গে যে সকল মানুষেরা যুক্ত তাদেরকে অবিলম্বে টিকা করন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোভিড বিধি মানার জন্য কপিলমুনি মন্দির এর সামনে প্রচার চালানো হচ্ছে। কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন ভাষায় মাস্ক ও শারীরিক দূরত্বও বিধি মেনে চলার জন্য ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মাস্ক ছাড়া গঙ্গাসাগর মেলায় যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। লট ৮ , কচুবেড়িয়া ঘাট থেকে মেলার বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হয়েছে স্যানিটাইজার টানেল।

পুণ্যার্থীদের জন্য রাখা হচ্ছে থার্মাল চেকিংয়ের ব্যবস্থা। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত গণপরিবহনের সঙ্গে যুক্ত থাকা ভেসেল ,বাস, অটো গুলিতে স্যানিটাইজ করার কাজ চালানো হচ্ছে। গঙ্গাসাগর মেলায় সংক্রমণ রুখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ই স্নান ও ড্রোনের মাধ্যমে স্নানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাগর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে প্রায় কয়েক হাজার ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে।

গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণের জন্য ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু’লক্ষ মাস্ক রাখা হচ্ছে। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে আজ হাইকোর্টের শুনানি। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কতটা প্রস্তুত রাজ্য সরকার ও কি কি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে গঙ্গাসাগর মেলার ভাগ্য নিয়ে শুনানি হতে পারে আজ। করোনা সংক্রমনের কথা মাথায় রেখে সংক্রমণ আগাম প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।