২৩ ডিসেম্বর ২০১৯,ফিরোজাবাদ, উত্তর প্রদেশে কি ঘটেছিল? পুলিশ কর্মী অজয় কুমারকে হিংস্র জনতার থেকে কিভাবে বাঁচিয়েছিল হাজি কাদির?

অজয় ও কাদিরের গল্প
তমাল সাহা

হাওয়া-বাতাসের কি পরিচয় লাগে?
হাওয়া-বাতাসকে কি প্রতিহত করা যায়?
যখন সে সংবাদ পৌঁছে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কাদিরের দাওয়ায়।

কাদির পড়ে ফজরের নামাজ।
অজয় ভোরে উঠে রামধুন গায়।
তাতে বাতাসের কি আসে যায়!
বাতাসের যদি কিছু হবে
তবে কেন সে কাদিরের কাছে গিয়ে বলে
অজয়কে আছে ঘিরে উন্মত্ত জনতা,
রক্ষা করো তারে।

ধ্যাত্তেরি তোর নমাজ!
মানুষের চেয়ে কে বেশি আগে?
শীতের ঠাণ্ডা কেঁপে ওঠে ভালবাসার উষ্ণতায়।
কাদির ছোটে দ্রুত, দ্রুততর ছুটে যায়।

কাদিরের হুমকিতে থমকে যায় জনতা।
চক্রব্যূহ থেকে বেরিয়ে আসে জখমি অজয়।
কাদির বলে, আমি আছি ভাই,
নেই কোনো ভয়।

কাদিরের বাড়িতে আহত অজয়,
জল পোশাক শুশ্রূষা পায়।
হতবাক আল্লা ও ভগবান
পরস্পরের দিকে চায়।

ধর্ম তখন কোথায় থাকে,
কোথায় থাকে দুই ঈশ্বর?
জয় কাদির আলিঙ্গনে মত্ত তখন,
চারটি চোখ জলে ভেসে যায়–
তারা ঘনিষ্ঠ পরস্পর।

ধর্মের ষাঁড় রাষ্ট্র যখন
অবরোধ করে রাখে রাস্তা
তখন ঈশ্বর আল্লা নয়
মানুষই মানুষের ফরিস্তা।