তৃণমূল দলে আলোরানি সরকার, সোনালী সিংহ রায় কি গুরুত্বহীন হয়ে পড়লেন?

অবতক খবর,রঞ্জন ভরদ্বাজ/ ২৮ ডিসেম্বর: ২৩ শে মে-র পর দলবদলে উথালপাথাল হয়ে উঠেছিল বীজপুর। তারা সবুজ শিবিরে থাকবে নাকি গেরুয়া শিবিরে ঢুকবে এ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। সেই মুহূর্তে মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু রায়ের নেতৃত্বে বিজেপিতে যাওয়ার ঢল নেমে যায়। সেই সময় কাউন্সিলরদের বেশিরভাগ অংশই ঢলে যায় বিজেপি দলের দিকে।তখন তৃণমূল দলের উল্লেখযোগ্য দুই নেত্রী আলোরানি সরকার এবং সোনালী সিংহ রায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।

গেরুয়া শিবিরের দিকে যে ঢল নামছে তা রুখতে আলোরানি সরকার এবং সোনালী সিংহ রায়ের একটি ভূমিকা ছিল।

আলোরানি সরকারের বাড়ি তখন উল্লেখযোগ্য একটি তৃণমূল শিবির হয়ে দাঁড়ায়। তাঁর বাড়িতে এসে রাজ্য নেতারা বিশদ আলোচনা করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,নির্মল ঘোষ,পার্থ ভৌমিক,তাপস রায়, সুজিত বোস-এর মতো নেতারা। আলোরানি সরকার এবং সোনালী সিংহ রায়ের সাহসী ভূমিকা দেখে জ্যোতিপ্রিয়  মল্লিকের নেতৃত্বে এরা গুরুত্বপূর্ণ কনভেনারের পদ পান এবং তাদের নিরাপত্তাও দেওয়া হয়।

বিশেষ করে আলোরানি সরকার নিজে জনসংযোগ করার জন্য, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সাহস জোগানোর জন্য এককভাবে অঞ্চলে তৃণমূলের পতাকা লাগানোর কর্মসূচি ও অন্যান্য সমাজ কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে এই দুই নেত্রী কি দলে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন? তাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেই দায়িত্ব থেকে কি তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্ন জনমনে উঠেছে।

যেই সোনালী সিংহরায়কে নৈহাটির মঞ্চে উঠিয়ে সাবাসি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আলোরানি সরকারকে নৈহাটির সভায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দুই নেত্রী এখন অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন বলে মনে করছেন তৃণমূল কর্মীরা।