অবতক খবর,মালদা;সানু ইসলাম;০১নভেম্বর: সরকারি বিদ্যালয়ের বেহাল দশা। বাইরে ঝা চকচকে নীল সাদা রং। কিন্তু ভেতরে জড়াজীর্ণ ভবন। খসে পড়ছে প্লাস্টার। ফাটল ধরেছে ভবনের ছাদে আতঙ্ক গ্রাস করেছে পড়ুয়াদের। ভয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা। দীর্ঘ দিনের পুরনো বিল্ডিং সংস্কারের অভাবেই বেহাল দশা। মেনে নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।বিদ্যালয়ের চারিধারে নেই সীমানা প্রাচীর। সন্ধ্যে নামতেই বিদ্যালয় চত্বরে বসছে মদের আসর। বাড়ছে সমাজ বিরোধীদের আনাগোনা।

শিক্ষার পিঠস্থান যেন মাতালদের ভাটিশালা হয়ে যাচ্ছে।চুরি যাচ্ছে মিড ডে মিলের সামগ্রী এবং স্কুলের ফ্যান। জানাচ্ছেন খোদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মিসকিনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই বেহাল দশা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে তরজা। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের বিল্ডিং সংস্কার হয়নি। যার ফলে জল বসছে ছাদে। ফাটল দেখা দিয়েছে একাধিক জায়গায়। খসে পড়ছে প্লাস্টার। কিন্তু বিল্ডিং সংস্কারের জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন স্কুলের নিজস্ব তহবিলের টাকায় তা করা সম্ভব নয়। একদিকে যখন ডিজিটাল ক্লাসরুম নিয়ে বড়াই করছে সরকার। অন্যদিকে সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়ছে পরিকাঠামো। প্রশ্ন উঠেছে তবে সবটাই কি আইওয়াস? পুজোর ছুটির পরে স্কুল খুলতেই স্কুলে আসতে চাইছে না ছাত্র-ছাত্রীরা। আতঙ্ক গ্রাস করেছে খুদে পড়ুয়াদের মনে। ভয় পাচ্ছে অভিভাবকরা।

কারণ স্কুলের ভগ্ন বিল্ডিং ভেঙে দুর্ঘটনা এর আগেও জেলাতে ঘটেছে।সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই প্রশাসন এবং শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। স্কুলের প্রধান শিক্ষকও মেনে নিচ্ছেন দুরবস্থার কথা। সন্ধ্যা হতেই একদিকে বসছে নেশার আসর অন্যদিকে চুরি হচ্ছে সামগ্রী।অন্যদিকে বেহাল দশা নিয়ে কটাক্ষের তীর ছুড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। শুধুমাত্র বাইরেই ঝা চকচকে। ভেতরে কোন পরিকাঠামো নেই। অভিযোগ জোটের দখলে থাকা পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের। পাল্টা সাফাই দিয়েছে তৃণমূল। যদিও স্কুল পরিদর্শক শর্মিলা ঘোষ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোন রকম ছিনিমিনি খেলা যাবে না। প্রয়োজন অনুযায়ী খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।