পাঞ্চজন্য :
শ্রদ্ধা নিবেদনে —
তমাল সাহা
এক:
পঙ্খিরাজ :
পঙ্খিরাজ দিয়েছে উড়াল
মেঘের ভেতর দিয়ে উড়ে চলে যায়…
নক্ষত্র পাহারা দিয়ে তাকে
কোথায় কতদূর নিয়ে যায়!
দেখা হবে না আর
প্রতিবাদ মিছিলে
তুমি কবিতা পাঠ করেছিলে।
তুমি বলেছিলে
আমাদের দেখা হবে নিরাময় শহরে
কথা হবে নীরব কলস্বরে।
এতো কথা বলো কেন, চুপ থাকো,
লেখো আশ্চর্য উজ্জ্বল পরমায়ু।
নির্মল অম্লজান নিয়ে আসবেই একদিন
স্বাস্থ্যকর জীবাণুমুক্ত বায়ু!
দুই :
শঙ্খ :
হাজার হাজার লাইন অক্ষর সাজাই
তেমন উচ্চারণ কই?
সব শব্দই মলিন,দেহে লেগে পঙ্ক।
তোমার মত চোরাটান বিরুদ্ধবাক
কে লিখবে আর, শঙ্খ!
তিন :
পাঞ্চজন্য :
ক-এ কবি।
ক- এ করোনা–
জীবনের অভিমুখী নও তুমি
তোমাকে করি ঘৃণা।
কবির মতো কোনোদিনই তুমি
আঁকতে পারবে না
জীবনের আলপনা।
এ শঙ্খ সে শঙ্খ নয়
এ শঙ্খ পাঞ্চজন্য
বজ্রনির্ঘোষ তার মানুষের জন্য।