অবতক খবর,২ এপ্রিল: গোটা রাজ্যে ব্যারাকপুর লোকসভা এখন পাখির চোখ। সবকটি দল দাঁতে দাঁত চেপে নেমে পড়েছে ময়দানে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে চাইছে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রচারে লেগে আছে প্রার্থী সহ বিভিন্ন দলের কর্মীরা।
ইতিমধ্যেই প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বীজপুরের কোনঠাসা, ইনঅ্যাকটিভ,ব্যাকফুটে চলে যাওয়া নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। অর্থাৎ আমরা কথা বলছি বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের। কিছুদিন আগেও দেখা গেছে অর্জুন সিং-এর সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতা। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে শুভ্রাংশু রায় খুব কম মার্জিনে বর্তমান বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর কাছে হেরেছেন। এই বীজপুরে শুভ্রাংশু রায়ের ভালো একটি পরিচিতি রয়েছে এবং তাঁর ভালো ভোটার রয়েছে। তা প্রমাণিত হয়েছে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে।
বর্তমানে তিনি কাঁচরাপাড়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। একটি বিষয় উল্লেখযোগ্যভাবে নজরে এসেছে যে,বীজপুরের মধ্যে তিনিই একমাত্র যিনি পুরনো কর্মী অর্থাৎ বর্তমান নেতাদের কাছে যাদের এখন কোন গুরুত্ব নেই, তাদেরকে একসাথে নিয়ে চলছিলেন শুভ্রাংশু। যেমনটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। তিনি ঠিক সেই কথা মেনেই পুরনো কর্মীদের একজোট করে চলছিলেন। বর্তমানে তাঁকে নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্গত তিনটি পঞ্চায়েতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি সেখানে যাচ্ছেন,কর্মীদের নিয়ে মিটিং মিছিল করছেন। অর্থাৎ পার্থ ভৌমিককে জেতাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। কিন্তু আজ তাঁকে দেখা গেল পুরনো এবং প্রাক্তন নেতাদের নিয়ে একটা ঘরোয়া বৈঠক করলেন তিনি। অনেক পুরনো লিডার যারা ২০১১ সালে লড়াই করে সিপিএমকে হারিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিলেন,তারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ফাইল চিত্র
সূত্রের খবর,এই বৈঠকে নাকি শুভ্রাংশু রায় জানিয়েছেন,”আমাদের একজোট হয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে জেতাতে হবে। সুতরাং সকলকেই ময়দানে নেমে তাঁর হয়ে প্রচার করতে হবে।”
তবে এই বৈঠক কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নির্বাচনের ফলাফলেই বোঝা যাবে।