অবতক খবর,১১ মেঃ যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে আটকে হুগলির দুই যুবক,চোখের সামনে বোমা গুলির লড়াই,স্বাক্ষাৎ মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখছে ছেলেরা,পরিবারে উৎকণ্ঠা!
গত ১৫ ই ডিসেম্বর সুদানে জুয়েলারির কাজে গিয়েছিল হুগলির হারিটের জেটে গ্রামের আমিনুর রহমান মন্ডল(৩৮)। আগে মুম্বাই হায়দ্রাবাদ সহ বিভিন্ন শহরে সোনার গহনা তৈরীর কাজ করেছেন। মাস কয়েক আগে বলাগড়ের শিমুলিয়া এলাকার রাহুল নামে এক এজেন্টের মাধ্যমে দোকান মালিক আরশাদ আলীর কাছে কাজে যান আমিনুর। সেখানে গিয়েই বিপাকে পড়েছেন তিনি। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা মা ও স্ত্রী, তিন মেয়েকে ফেলে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন বাড়তি কিছু আয়ের আশায়। পরিবারের অভিযোগ, যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদান থেকে আসতে দিচ্ছে না দোকান মালিক।ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।মুহুর্মুহু গোলাগুলির শব্দ,আমিনূর যে যায়গায় থাকে সেই বাড়িতেও বোমা পরেছে।বোমা বর্ষনে কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে রাস্তাঘাট। কি করে বাড়ি ফিরবে ভাই তা কিছুই বুঝতে বুঝে উঠতে পারছেন না দাদা সরিফুদ্দিন মন্ডল। এদিকে পরিবারে বাড়ছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা ।পরিবারের দাবি অবিলম্বে আমিনুরকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সুদান থেকে ইতিমধ্যে অনেক ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।এখনও বেশ কিছু মানুষ আটকে রয়েছেন।হারিটের আমিনুর ছাড়াও হুগলির পাণ্ডুয়ার গোয়ারা গ্রামের বাসিন্দা শেখ রুহুল আমিন রয়েছেন।তার স্ত্রী আমিনা বিবিও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।সেপ্টেম্বর মাসে সুদানে গিয়েছিলেন রুহুল।
গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে সুদানের রাজধানী খার্তুম সহ কয়েকটি শহরে যুদ্ধ শুরু হয়।এখনো অশান্ত উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদান।