আজ রাজা রামমোহন রায়ের জন্মদিনঃ অবতকের বিশেষ প্রতিবেদন

দিল্লির নির্ভয়া, হাথরস- উন্নাওয়ের দলিত নারীদের ধর্ষণ-দাহপর্ব তিনি দেখে যেতে পারেননি, হাঁসখালির কিশোরীটিকে ধর্ষণ ও দাহপর্বের পর কিভাবে শাসকগোষ্ঠী তাকে অপমান করেছিল তা তিনি দেখে যেতে পারেননি, দেখে যেতে পারেননি বগটুইয়ের বদ্ধ ঘরে অগ্নিদাহকাণ্ড, এগরা মহেশতলায় বারুদ বিস্ফোরণে ঝলসানো নারীদের মুখ অথবা কালিয়াগঞ্জের মেয়েটিকে ধর্ষণ ও খুনের পর কিভাবে তার মৃতদেহ মাটিতে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল সুরক্ষা স্যাঙ্গাতেরা। আড়াইশো বছর পরে আজও তিনি প্রাসঙ্গিক।নারীদের পাশে দাঁড়ানো একজন মানুষ।

ভারত পথিক
তমাল সাহা

মোহনের আগে রাম কেন
সঠিক না বেঠিক আমি কি জানি?
ছিলে তো প্রজাদের পাশে
রাজা শিরোপা কেন পেলে
তখনো বুঝতে পারিনি।

এখন বুঝি তুমি তো ছিলে বিস্তৃত হৃদয়ের রাজা!
অসহায় ভাবে চলছিল তোমার খোঁজ
খুঁজছিল অবলা নারীরা মুখবোজা।

আজ বাইশে মে–জানিনা
তোমার শুভ না অশুভ জন্মদিন!
শুধু নারীরাই বলতে পারে
স্বচ্ছ ভারতে
কী কী ঘটছে চারিধারে।

সতীদাহ রোধ করেছিলে তুমি
একেবারে আইনসিদ্ধ- সে সব দিন!
কতো কতো বাহবা প্রণাম
পরে আমরাই তো শিরচ্ছেদ করলাম!

মুক্ত স্বদেশ!
এখন নয়া সংযোজন
চেয়ে দ‍্যাখো উন্নততর উন্নয়ন
প্রথম পর্বে ধর্ষণ
দ্বিতীয় পর্বে অগ্নিদাহ- নারীদেহ জ্বলে,
আগুন খেয়ে খেয়ে পোড়া কাঠ।
তোমার আইন বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখে
প্রশাসন-আদালত সব চৌপাট।

আমরা রামায়ণ ভক্ত
আমাদের শ্রীরামচন্দ্র রেখে গেছে নারীর লাঞ্ছনা শঠতা হত্যার দৃষ্টান্ত।
তুমি রামমোহন এখনো প্রাসঙ্গিক
তোমাকে চাই শেষ পর্যন্ত।

স্বাধীন স্বদেশ!
গণতন্ত্রের পতাকা উড্ডীন
হা!হা! তোমার জন্মদিন।একটাই তো দিন হোক না হৈচৈ, এ আর কী এমন
রামমোহন! রামমোহন বাংলার নবজাগরণ।