বাঘা বাঘা দল, সোমত্ত ছেলেরা তার কথা আর বলেনা!
ছেলেটি কোথায়? দীর্ঘদিন হলো তাকে দেখি না। যারা পাশে ছিল তারাও সটকে পড়লো নাকি! এভাবেই কি ভয় আতঙ্ক ছড়ায়?
পথের দাবীর সেই ছেলেটি
তমাল সাহা
মানুষের ভেতরে কোথায় কিভাবে যেন আগুন ঘুমিয়ে থাকে।
ছেলেটিকে অনেকবারই দেখেছি কিন্তু বুঝি না কিছুই। এক টুকরো কাঠ যেমন এদিক ওদিক পড়ে থাকে আমরা কি বুঝি সে কাঠের বুকে ষকতটুকু জ্বালানি লুকিয়ে আছে?
সেই শীতের রাতে একটি ছেলে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো
সে বললো, আমাকে চিনতে পারছেন?
ছেলেটির সামনে আসতেই আমার শরীর এত উষ্ণ হতে লাগলো, জমে যাওয়া এই শীতে গায়ের লেপটা সরিয়ে ফেলতে হলো।
আমি বলি, তুমি তো ছন্দে তাল মেপে বেশ ভালো কবিতা লিখতে। আমি তো লিখতেই পারলাম না। আমার লেখায় তো কোনো ব্যাকরণ প্রকরণ নেই।
সে নিশ্চুপ। আমার হাত ছুঁয়ে বলে, কী যে বলেন! ব্যাকরণ ভাঙার স্পর্ধা আপনিই দেখাতে পারেন।
সেই ছেলেটি কবে কিভাবে যেন উধাও হয়ে গেল!
পরে শুনেছি ঝাড়খণ্ডের কোনো জঙ্গলে চলে গেছে। নতুন কবিতা লেখার মকশো করছে আগ্নেয় উল্লাসে।
তা এই ভয়ংকর শীতে কেমন আছো জঙ্গলে, হাড় কাঁপুনে শীতে কেমন করে থাকো?
সে কত সহজেই বলে, উদ্ভিদেরা গাছেরা যেমন ভাবে থাকে।
এমন নম্র উচ্চারণ শুনে আমার মাথা নিচু হয়ে গেল।
আচ্ছা, গাছের দাম হয় কেনাবেচা চলে।
মানুষেরও পণ্য মূল্য আছে নাকি? শুনছি তোমার মাথার দাম হযেছে ১০ লক্ষ টাকা! কে কিনবে, এতো দামে কেনা সম্ভব?
ওসব কথা ছেড়ে দিন। হৃদয়ে যে বিশ্বাস আদর্শ থাকে তা আবার তা মূল্যে মাপা যায় নাকি!
প্রথম পরিচয়ে নাম জানতে চাইলে সে বলেছিল, নামে কি আসে যায়! যে নামে ইচ্ছা ডাকতে পারেন। মনে করুন সব্যসাচী!
সব্য মানে কি, সাচী মানেই বা কি এখন বুঝতে পারি?