অবতক খবর,২৪ জুলাইঃ তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সাফাই কর্মীদের।

মজুরি বৃদ্ধির দাবীতে টানা তিন দিন কর্মবিরতি সাফাই কর্মীদের,আজও পৌরসভার গেট আটকে বিক্ষোভ।

চাঁপদানি পৌরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি চলছে।ফলে শহর পরিষ্কার থাকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের অভিযোগ একশ টাকা রোজ মজুরিতে তাদের কাজ করানো হয়।দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবস্থা চালু থাকলেও মজুরি বৃদ্ধি করা হয়নি।এখনকার বাজারে একশ টাকা রোজে কাজ করে পেট চলে না।তাই তার আগেও আন্দোলন করেছেন আবারও আন্দোলন শুরু করেছেন।শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কর্মবিরতি।শ্রমিকদের অভিযোগ গতকাল রাতে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ আন্দোলনরত কর্মীদের ডেকে পাঠিয়ে আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য তাদের উপর চাপ দেয়।তার পরিপেক্ষিতে আজ সকালে চাঁপদানি পুরসভার গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে সাফাই কর্মিরা।সুনীল হরি নামে এক কর্মি বলেন,কুড়ি তারিখে বোর্ড মিটিং এ সিদ্ধান্ত হবে বলে জানানো হয়েছিল।কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।আমরা আট ঘন্টাই কাজ করি।মজুরি বাড়ানো নিয়ে পুরসভার টালবাহানা দীর্ঘদিনের।

চাঁপদানী পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ মিশ্র বলেন,আমরা চাঁপদানীকে পরিষ্কার রাখতে চাই।সামনে একটা উৎসব আছে তাকে সামনে রেখে কেউ যদি ব্ল্যাকমেইল করতে চায় পুরসভা কে সেটা আমরা কোনভাবেই মেনে নেব না।আমরা বলেছি অস্থায়ী কর্মী যারা কাজ করছেন তাদের ছয় ঘন্টা কাজ করতে হবে।কিন্তু আমরা দেখেছি অনেকেই অন্য কাজে চলে যায়। কেউ হয়তো এক ঘন্টা কাজ করে।এক ঘন্টার জন্য ১০০ টাকা যথেষ্ট।আমরা বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থা করছি।ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের থেকে রিপোর্ট নেওয়া হবে কারা কাজ করছে কারা করছে না। যারা কাজ করছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে এই সিস্টেম চালু করতে তিন মাস সময় লাগবে।আমরা তিন মাস সময় চেয়েছি। মজুরি বাড়ানো হবে না এ কথা বলা হয়নি।পুরসভার কিছু স্থায়ী সাফাই কর্মী আছে তাদের দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে।