অবতক খবর,১৬ সেপ্টেম্বর,নববারাকপুর: সাব জুনিয়র (অনূর্ধ্ব ১৪)জাতীয় মহিলা ফুটবলে বাংলা দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিল নববারাকপুর পুরসভা ফুটবল অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থী রিমা হালদার। নববারাকপুরের গর্ব রিমা ।কলোনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। দশ বছর বয়স থেকে খেলা শুরু। বাবা রংমিস্তীর কাজ করে মা লোকের বাড়ি রান্নার কাজ করে একমাত্র মেয়ে কে নিয়ে টালি টিনের ঘরে বসবাস খালপাড়ে।

দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে ফুটবল খেলার নেশায় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে রিমা বাংলার তথা দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে পাঞ্জাবের অমৃতশ্বরে গুরু নানক স্টেডিয়ামে সাব জুনিয়র মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে রয়েছে।বুধবার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের কাছে হেরে গিয়ে রানার্স আপ হয়েছে বাংলা। শনিবার সকালে ঘরে ফিরল রানার্স দলের অন্যতম সাইড ব্যাক নববারাকপুর পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মেইন রোড ইস্টে বাসিন্দা রিমা হালদার।ঘরে ঢুকতেই এলাকার মানুষের উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৭ দিন বাদে সকলের প্রিয় রিমাকে পেয়ে খুদে থেকে বড়রা ভালোবাসার আবেগে ভাসল অভিনন্দন জানাল। কেউ রিমাকে কাছে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরল কেউ বা এগিয়ে এসে গোলাপ ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানাল।উদিয়মান ফুটবলার রিমা জানাল দীর্ঘ সতেরো দিন বাদে বাড়িতে এসে বাবা মা পড়শিদের পাশে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। যদিও জাতীয় মহিলা ফুটবলে দলে খেলার জন্যই বাড়ির বাইরে ছিলাম। খেলায় হার জিৎ আছে। চেষ্টা করেছি। বাইরের মাঠ লড়াই ছিল। রানার্স হয়েছে। বাবা মা কে কাছে পেয়ে খুশি। চেষ্টা করব আরো ভালো খেলে বাংলা এবং দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে। কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে আবার পুনরায় জোরকদমে পুরসভার অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ চলবে।