অবতক খবর,১৮ মার্চ: গার্ডেনরিচের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, গোটা কলকাতাকে অবৈধ নির্মাণের টেন্ডার তৃণমূল নেতারা দিয়ে রেখেছে। তৃণমূল নেতারা প্রতি স্কোয়ার ফিটে পয়সা নেয়, প্রতি স্কোয়ার ফিটে যদি আপনি পয়সা নেন তাহলে আপনার মেরুদন্ডে জোর থাকবে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার, আজকে একটা ভেঙেছে ৩০ বছর পর আরো বাড়ি ভাঙবে। আপনি উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, চেতলা কোথায় যাবেন সব জায়গায় কাউন্সিলরের স্কোয়ার ফিটে টাকা নেয় এরা হচ্ছে স্কোয়ার ফিট কাউন্সিলর।
এক এক জন কাউন্সিলরের এর সম্পত্তি দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে। এক কাউন্সিলর পি ডাব্লিউ ডি জায়গা দখল করে বাইপাস ধাবা বানিয়ে বসে আছে। জায়গাটাই অবৈধ সরকারই জায়গা। এইতো তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর।
বিজেপির দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হওয়া নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের সর্বভারতীয় দল, সমস্যা হচ্ছে মৌমাছি নিজেকে পাখি মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেস একটি একজনের সঙ্গে হাফখানা একজন নেতা আছে তারা ঘরে বসে পারিবারিক পার্টি পরিবারে লোকের সঙ্গে আলোচনা করে কাকে কাকে প্রার্থী করবে হয়ে যায়।
আমাদের তা নয় আমাদের রাজ্য থেকে নাম যাবে কেন্দ্রের টিম আছে তারা বসবে সবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পার্লামেন্টারি বৈঠক হয় আপনারা জানেন পার্লামেন্টারি বোর্ড বসে আজকে এই সমস্ত প্রক্রিয়া হবে। তাতে এমারজেন্সি হোক আর যাই হোক আমরা এই নিয়ম অনুযায়ী কাজ করি তার বাইরে কাজ করি না।
এখনো সন্দেশখালিতে বিক্ষোভের আগুন সেই প্রসঙ্গে বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনো পুরোদমে এসে পৌঁছয়নি। দ্রুত কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো উচিত। ইতিমধ্যেই তিনখানা ত্রিপল ভায়োলেন্স এর ঘটনা ঘটে গেছে তার মধ্যে একটি আমার কেন্দ্রে, সাতখানা সেলাই পড়েছে যে মার খেয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার বাবাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এই ধরনের প্রসাশন থাকে তাহলে কি করা যাবে, এরপরে আমাদের প্রশাসনের সঙ্গে মারামারি করতে হবে, তাছাড়া উপায় নেই।
তৃণমূল জানে জনগণের সমর্থন নেই, ভয় পাইয়ে বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় বাইক বাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছে আমার অঞ্চলে বলছি অন্যগুলো ছেড়েই দিন বাইক বাহিনী দিয়ে ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করছে, মানুষ যেদিন সুযোগ পাবে এদের ধরে এমন ব্যবস্থা করবে সেদিন বুঝতে পারবে।
এগুলোর সমস্ত বিষয় আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছি।এবং প্রয়োজনে লিখিতভাবে জানাবো।
বাম কংগ্রেস ও আইএসএফ জোট প্রসঙ্গে বলেন, ওখানে জোট বলে কিছু নেই পুরোটাই জট হয়ে আছে। আইএসএফ ও বামপন্থীরা কিভাবে একসাথে আছে এটা আমার মাথায় ঢোকে না। যারা মুখে ধর্মহীনতার কথা বলে, বামপন্থী মানে হচ্ছে আপনি ধর্ম বিশ্বাস করবেন না। সে এখন নওশাদ সিদ্দিকী পীরজাদা যিনি অর্থাৎ একজন ধর্মীয় ক্ল্যান তাকে নিয়ে পার্টি করার চেষ্টা করছে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে এতো হ য র ল ব-র থেকেও ভয়ংকর জোট।
সন্দেশখালীর সংখ্যালঘু মানুষদের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, গোটা পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহার হয়, আজকে ক’জন ডাক্তার সংখ্যালঘু পরিবার থেকে এসেছেন কজন ইঞ্জিনিয়ার আছে তাহলে ভোট ব্যাংকের রাজনীতিতে ব্যবহার করা হয়। আপনাকে ঠিক করতে হবে মানুষ হিসেবে ব্যবহৃত হবেন না ভোটার হিসেবে বিক্রি হবেন। মানুষ হন ভোটার হতে হবে না।
দিল্লি যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে বলেন, আজকে বৈঠক আছে। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক আছে।
মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ওনার সামনে একটা বিশেষন যোগ করা উচিত উত্তর মালদার রঙিন তৃণমূল প্রার্থী। ওনার রঙিন শব্দটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খোঁজ নেবেন তাহলেই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সম্বন্ধে জানতে পারবেন। বিষয় হচ্ছে উনি মাঝখানে পুলিশকর্তা ছিলেন আই পি এস বলেন নিজেকে, প্রমোটেড আইপিএস বলা উচিত তারপর উনি নাটক সিরিয়াল শুরু করলেন এখনো ওই অভিনয় জগৎ থেকে বেরোতে পারছেন না, ভাবছেন উনি নাটকের হিরো আছেন।সেন্ট্রাল বাহিনীর সামনে হিরোগিরি করতে গেলে সেন্ট্রাল বাহিনী ওনাকেও বুঝিয়ে দেবে।
নির্বাচন ঘোষণা হতেই দিকে দিকে হিংসা প্রসঙ্গে বলেন, তৃনমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না।