কবি ছাড়া জয় বৃথা। কোথায় কবি? কবিরা কি ঘুমিয়ে আছে? রামলালা, সাংবাদিক নিগ্রহ,কর্মহীনতা, রাষ্ট্রীয় দৌরাত্ম্য কবিরা দেখতে পায় না?

কবিরা বেঁচে আছো হে!
তমাল সাহা

বজ্রবিদ্যুৎ ভর্তি খাতা
এখন শাসকের পায়ের কাছে পাতা।
গারদে আটকে আছে কবি।
এক সময় সক্রিয় ময়দানে
শাসক-বিরুদ্ধতার ছবি।
তার কবিতার লাইনে
এখন নেই কোনো রক্ত
তিনি এখন শাসকের ভক্ত।

যার শিরদাঁড়া বাঁকা,
গণতন্ত্র হত্যাকারী শাসকের পাশে
এখন তার ছবি আঁকা!
সে তো নিজেই এলেবেলে
কি করে টানটান শিরদাঁড়ার
কথা বলে?

বাংলার কী বাহার!
কবি মোছে শাসকের চেয়ার।
কবিতায় কত শব্দ, প্রতিবাদ!
শাসকের বকলেসে আটকে গলা
নিজেই বরবাদ।

কী হবে আর এতো
অন্ধকারগুচ্ছ লিখে?
কে কাকে শেখায়,
কে কার কাছে শেখে?
শাসকের হাতে প্রদীপ—
দেখায় আলো
কবি চলে যায় তার দিকে।

রাষ্ট্রের হাতে দেশ স্কন্ধকাটা কবন্ধ
কবিমশাই! আপনি কিছু দেখেন নাই
ধৃতরাষ্ট্র-অন্ধ।