সংবাদপত্র কি, সংবাদপত্র কি করতে পারে, সংবাদপত্র কি করে নিজের হাতে বিলি করতে হয় তিনি আমাকে শিখিয়েছিলেন
সকলেই জানেন, তবুও লিখি
ঋণী
তমাল সাহা
তিনি আমাকে শিখিয়েছিলেন কাগজের ফেরিওয়ালা হ’তে। নিজের হাতে নিজের কাগজ বিক্রির আনন্দ সেদিন থেকে শিখি।
খুলে যায় দুনিয়ার দুয়ার
হেঁটে হেঁটে হেঁকে হেঁকে বিক্রি করে তাই বলে হকার।
তিনি আমাকে শিখিয়েছিলেন নিজেকে স্বঘোষিত বিদূষক বলা যায়।
এমন ভাবে নিজেকে ছড়িয়ে বিছিয়ে দাও জাগতিক হাওয়ায়।
আমার মাথা নত হয়ে গেল তখন যখন দেখি তার অপূর্ব সহজ সরল বাক্যগঠন–
আমি তোমাকে ভালোবাসি/ আমি তো মাকে ভালোবাসি! তারপরেই তিনি আমাকে শেখালেন
একা কি থাকা যায়?/ একাকি থাকা যায়।
আর জানিয়ে দেন,
টাকা দিয়ে ভালোবাসা কেনা যায়? / টাকা দিয়ে ভালো বাসা কেনা যায়।
রবীন্দ্রনাথের বিশাল বিস্তার। তিনি বললেন, থাক রবি কবির কথা— ডানে-বামে পড়ে গেলে একই বাক্যের বার্তা।
তেমনি– বিরহে রাধা নয়ন ধারা হে রবি!
আমি এখনও তোমার এইসব শাব্দিক খেলা ভাবি।
কাজী নজরুল মানে জানো হে?
কাজী গায়কীতে কেন বিখ্যাত জানো?
Kazi Knows Rule.
তিনি নজরুলের গান শুনে ঢুকে পড়লেন আসরে। নজরুলকে বললেন, কান টানলে মাথা আসে। নজরুল বলে, মানে!
কা-তে কাজী, ন-তে নজরুল।
রামকুমার চট্টোপাধ্যায়কে রেডিও স্টেশন থেকে বেরুতে দেখে দাদাঠাকুর বলেন, তুমি এখানে? — আজ্ঞে আমি গাই।
—- তা হে! ক সের দুধ দাও?
ভোটের কাণ্ডকারখানা ও ছড়া, আমার মনে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
Rise To Vote Sir–ডানে- বামে পড়লে একই উচ্চারণে একাকার।
কার্তিকচন্দ্রকে বানিয়েছিলেন জঙ্গিপুর মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনার ।
লেখাপড়া জানে না এমন মানুষটিকে বললেন, স্বাক্ষর করে নিচে লিখে দেবে কংজংমিং মানে কমিশনার জঙ্গিপুর মিউনিসিপ্যালিটি।
আসলে তিনি ছিলেন খুবই সাদামাটা পরিপাটি।
খাদ্য আন্দোলন, তখন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। দাদাঠাকুর বলেন, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিধান সে রাজ্য তো বি-ধানই হবে, হাভাতেরা বেড়ে যায়।
বহরমপুর মিউনিসিপ্যালিটিতে লড়ছেন রমণীমোহন ও নীলমণি চট্টোপাধ্যায়।
দাদাঠাকুর বললেন, রমণী জিতবে। কেন?
আরে ও তো রমণী মানে Raw Money
আর ওতো নীলমণি মানে
Nil Money।
নির্বাচনে অর্থের ইঙ্গিত সেই কবে তিনি দিয়েছিলেন ইশারায়!
তিনি শিখিয়েছিলেন, কাউকে আশীর্বাদ করবেনা, শতজীবী হও!
আশি বাদ দিলে পড়ে থাকে বিশ (বিষ)!
সে তো জীবনের স্বল্প সময় বই তো কিছু নয়।