অবতক খবর,২৩ জানুয়ারি: ২৩ শে জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে। তার মধ্যেও উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়া থানায় আজ নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন পালনটা একটু অন্যরকম ভাবেই করা হয়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে এই নোয়াপাড়া থানাতে এক ঘন্টার জন্য কারাগারে আটক করেছিলো তৎকালীন ইংরেজ সরকার। কারণটা ছিল ১৯৩১ সালে ১১ই অক্টোবর জগদ্দলের গোলঘর বঙ্গীয় পাটকল শ্রমিক সংগঠনের সভায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ভাষণ দিতে যাচ্ছিলেন।

ব্রিটিশ পুলিশ ভেবেছিলো নেতাজির ভাষন শুনলে ওই এলাকার শ্রমিক, সাধারণ মানুষ ব্রিটিশ শাসনের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবেন। এখনকার শ্যামনগর চৌরঙ্গী কালী বাড়ির সামনে নেতাজি পথ আটকায় তৎকালীন নোয়াপাড়া থানা ইন্সপেক্টর। সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে আসা হয় থানায়। বেশ কয়েক ঘন্টা তাকে সেখানেই আটকে রাখা হয়। জানা যায়, শ্রমিক আন্দোলনে যোগ দিতে শ্যামনগর চৌরঙ্গী মোড় থেকে তিনি যখন যাচ্ছিলেন সেই সময় পথ আটকায় পুলিশ। সেইসময় তিনি জোরজাবস্তি করলে তাকে আটক করে নোয়াপাড়া থানা নিয়ে আসে। এবং দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা আটক রাখে। ১০/৮ ফুটের গারদে তাই নেতাজির পদধলি এই থানায় পড়েছিল। যে ঘরটিতে তিনি আটক ছিলেন সেই ঘরটিকে স্মৃতিসৌধ হিসেবে রাখা হয়েছে। আজ গোটা ঘরটি সাজানো হয়েছে ফুল দিয়ে।

আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করতেন নোয়াপাড়া থানায় আসেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। নেতাজি স্মৃতিসৌধের মাল্য দান করেন তিনি।তার সাথে ছিলেন ডিসি নর্থ শ্রী হরি পান্ডে, গারুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান রমেন দাস, উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। যে ঘরটিতে সুভাষচন্দ্র বসুকে আটক করে রাখা হয়েছিল সেই ঘরটিও ঘুরে দেখেন পুলিশ কমিশনার।