আনন্দের উৎসাহের সঙ্গে জামাইষষ্ঠী উৎসব পালন মন্তেশ্বরে

অবতক খবর,২৫ মে,জ্যোতির্ময় মন্ডল,পূর্ব বর্ধমানঃবাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল জামাইষষ্ঠী। জামাই এর মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে শাশুড়ি মায়েরা এই ব্রত পালন করে জামাইদের এই উৎসবকে ঘিরে যুগ যুগ ধরে বাঙালির বাড়িতে নানান আচার অনুষ্ঠান পালন হয়ে আসছে। সকাল থেকে না খেয়ে নানান নিয়মের পালন করে এই ব্রত উদযাপন করেন শাশুড়িরা ।

জামাই ষষ্ঠী নিয়ে বেশ কয়েকটি কথা ও মতভেদ প্রচলিত আছে অনেকের মধ্যে শোনা যায় ভারতের এক সময় একটি বিশেষ সংস্কার প্রচলিত ছিল বিবাহিত কন্যা যতদিন না পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় তার বাবা মা তার গৃহে পা রাখবেন না তাই জামাইষষ্ঠী হিসেবে জৈষ্ঠ মাসের শুক্লা ষষ্ঠী কি বেছে নেওয়া হয়। এই বিশেষ প্রথার মাধ্যমে মেয়ের মুখ দর্শন হবে। এই আশা থাকে তাদের মনে। তবে লোক মুখে আরেকটি প্রবাদের কথা শোনা যায় বলা হয় এই দিন মা ষষ্ঠীকে পুজো করে খুশি করতেন মেয়ে ও মায়েরা, মেয়ের কোলজুড়ে যাতে ফুটপুটে পুত্র সন্তান আছে তাই এই পূজা, তবে বর্তমান সংস্কারের অনেক পরিবর্তন হয়েছে মা ষষ্ঠী পূজা ও জামাই আদরের জন্য এই পার্বণের নামকরণ জামাইষষ্ঠী এই দিন মেয়েও জামাইকে ডেকে সমাদর করে বিশেষ কিছু নিয়ম পালন করা হয়। পাশাপাশি জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করা হয়। বিশাল আনন্দ আয়োজনের মাধ্যমেই উদযাপন করা হয় জামাইষষ্ঠী।

বাঙালির হিন্দু সমাজের জামাইষষ্ঠীর গুরুত্ব অনেকটাই সারা বছর ধরে এই দিনটির জন্য সকলে অপেক্ষা করে থাকেন নতুন কাপড় উপহার ফলমূল পান সুপারি ধান দুব্য বাঁশের করুল তালের পাখা ও করমচা দিয়ে জামাইষষ্ঠীর উদযাপন করেন শাশুড়ি মায়েরা তবে এখন সকলে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে তাই বাড়িতে নানান রকম পথ বেঁধে এই আয়োজন করা ।

তাই মন্তেশ্বর এলাকায় জামাইষষ্ঠী উৎসব আনন্দে উৎসাহের সঙ্গে পালিত হচ্ছে। মেয়েরা তাদের স্বামীকে নিয়ে নতুন জামা কাপড় পরিধান করে জামাইষষ্ঠী উৎসবে আনন্দ উৎসাহের মধ্য দিয়ে বাপের বাড়ি যেতেও দেখা গেল।