অবতক খবর,৫ ডিসেম্বর: সত্তর দশকে বাংলার লোকশিল্প পুতুল নাচকে অন্য মাত্রা দিয়েছিলেন দক্ষ রূপকার সুরেশ দত্ত। ঐতিহ্যবাহী এই পুতুল নৃত্যের আধুনিকতার উত্তরণে তিনি কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছিলেন। এই শিল্পের কারিগর যারা তাদের পুতুল নাচানোর দক্ষতা নৈপুণ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছিল। ক্যালকাটা পাপেট থিয়েটারের অন্যতম কর্ণধার সুরেশ দত্ত তাঁর দল নিয়ে আন্তর্জাতিক সফর করেছিলেন এবং রাশিয়াতে তাঁর এই পুতুল নৃত্য অত্যন্ত সাগ্রহের সঙ্গে দেখেছিলেন রাশিয়ার জনগণ।
সেই পুতুল নৃত্য আজ প্রদর্শিত কল্যাণীর ঋত্বিক সদনে নাট্যভাবনা-র আয়োজনে। এই লৌকিক নৃত্যের মধ্য দিয়ে শিশু চেতনা যেমন জাগ্রত করা যায় তেমন দেশের এই লৌকিক শিল্পকে শ্রদ্ধা জানানো যায়। আজ আলাদিন পুতুল নাচটি প্রদর্শন করেন ক্যালকাটা পাপের থিয়েটারের শিল্পীরা।
তার আগে সুরেশ দত্তকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় নাট্য ভাবনার পক্ষ থেকে। ৯৩ বৎসর বয়স সুরেশ দত্তর।তিনি সংবর্ধনার জবাবি ভাষণে বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প আজও যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে তার উল্লেখ করেন। নাট্য ভাবনার যে নাট্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাতে এই পাপেট শো একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। শিশু, বয়স্ক মানুষ নির্বিশেষে আজকে ছিল হল উপচে পড়া ভিড়।
উল্লেখযোগ্য এই ঋত্বিক সদনন অডিটোরিয়াম নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সামাজিক দায়বদ্ধতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনজন শিল্পের কারিগর তাপস সেন, খালেদ চৌধুরী এবং সুরেশ দত্ত।