অবতক খবর, সংবাদদাতা, ৬ই ডিসেম্বর :: আজ ভাটপাড়া পৌরসভায় তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে ১৮ জন কাউন্সিলরের স্বাক্ষর সম্বলিত অনাস্থা পত্র জমা দেওয়া হল। বর্তমান বিজেপি পরিচালিত পৌরসভা এবং চেয়ারম্যান সৌরভ সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা পত্র জমা দিলেন তৃণমূলী কাউন্সিলররা।

উল্লেখ্য, ভাটপাড়া পৌরসভা বর্তমানে ৩৫টি আসন বিশিষ্ট,২০১৫-র নির্বাচনে এককভাবে তৃণমূল ৩৪টি আসন পেয়েছিল। একটি আসনে জয়লাভ করেছিল সিপিআইএম। পরে একজন তৃণমূল কাউন্সিলর মারা যাওয়ার কারণে আসন সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় ৩৩। ২০১৯ সালে অর্জুন সিংহ পদত্যাগ করেন ও বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লোকসভা নির্বাচনে জিতে যাওয়ার ফলে আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২টি। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনের পর ভাটপাড়া পৌরসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার ছ’মাস পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে অনাস্থা আনা হল।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে অনাস্থা পত্র জমা দেওয়ার সময় আন্দোলনরত পেনশনার্স সমিতি থেকে বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, ভাটপাড়া পৌরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসিম উদ্দিন খানকে বকেয়া দু মাসের পেনশন অবিলম্বে পাইয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজের কোন অগ্রগতি না হওয়ার জন্য পেনশনার্স সমিতি থেকে ক্ষোভ দেখানো হয়। পরে তা ৮ এবং ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যথাক্রমে মকসুদ আলম ও সত্যেন রায়,এনারা বুঝিয়ে পৌরসভার ভেতরে ঢোকেন এবং এক্সিকিউটিভ অফিসার তন্ময় ব্যানার্জীর কাছেও একটি ১৮ জন কাউন্সিলর এর স্বাক্ষর করা অনাস্থা পত্র জমা দেন।  জানা যায়, অনাস্থা পত্রের একটি প্রতিলিপি এসডিও-র কাছে জমা দেওয়ার হয়।

এক প্রশ্নের উত্তরে কাউন্সিলর মকসুদ আলম বলেন, দীর্ঘ ৬ মাস ভাটপাড়া পৌরসভার নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। পেনশনাররা টাকা পাচ্ছে না। বিধাওভাতা বন্দ, উন্নয়ন একেবারে স্তব্ধ অস্থায়ী সাফাই কর্মী দের ৫ মাসের বেতন বাকি। অন্যদিকে পিএফ এর টাকা সময়মত জমা পড়ছে না। ভবিষ্যতে এই সকল পরিষেবা সুরক্ষিত করার জন্য এই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন অর্জুনের গড়ে অর্জুনের বুকে আমরা এখন বড় কিল ঠুকে দিলাম। তার কাছের আরো ৪ কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরছেন। এবার অর্জুন কেও বিদায় নিতে হবে। তিনি জানান অর্জুন এখন পাগল হয়ে গেছে সে বিভিন্ন কাউন্সিলরদের আবার হুমকি চুমকি দেওয়ার চেষ্টা করছে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিলির ও তার স্বামী অশোক বাবুর বাড়িতে বম্বিং করেছে। তবে আমরা তাকে আর ভয় পাচ্ছি না।