অবতক খবর,৩১ মালদা: অমানবিক, নির্মম, মাটিতে ফেলে মারধর, মারতে মারতে খুলে ফেলা হলো মহিলাদের শাড়ি পর্যন্ত। অমানবিক নির্মম এই ঘটনার সাক্ষী থাকলো মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রকাশ্য এই ঘটনা চাক্ষুশ করল মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা কয়েকশো রোগীর আত্মীয়। জানা যায় ইটাহারের চূড়ামন এলাকার বাসিন্দা বন্দনা হালদার তার বাবাকে নিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসে শুক্রবার দুপুরে।
অসুস্থতার কারণে বাবাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। অভিযোগ এরপর অসুস্থ চিকিৎসাধীন সেই রোগীকে দেখতে যাওয়া নিয়ে গন্ডগোল বাধে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীদের সাথে। কথা কাটাকাটি হতে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। মুহূর্তের মধ্যে সেই হাতাহাতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। চিকিৎসাধীন রোগীর পরিবারের আত্মীয়দের সাথে প্রকাশ্যেই মারধরে জড়িয়ে পড়ে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা।
মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় চিকিৎসাধীন ওই রোগীর মা বন্দনা হালদার, তার ছেলে রাকেশ হালদার এবং তার বোন অনিতা হালদার কে বলে অভিযোগ। আরো অভিযোগ মারতে মারতে বন্দনা দেবীর শাড়ি পর্যন্ত খুলে দেয় নিরাপত্তা রক্ষী কর্মীরা। নির্মম অমানবিক এই ঘটনার সাক্ষী থেকে যায় গোটা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। নক্কার জনক এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের সামিল হয়, মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অন্যান্য রোগীর পরিবারবর্গ। নিরাপত্তা রক্ষীদের শাস্তির দাবি তুলে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। যদিও পরে খবর পেয়ে ঘঠনাস্থলে পৌঁছায় ইংলিশ বাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে এই বিষয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে চাইনি।