অবতক খবর,১৪ এপ্রিল: শান্ত ব্যারাকপুর তথা বীজপুরকে অশান্ত করার একের পরে এক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এমনই দাবি করছেন বীজপুরের তৃণমূল নেতারা। উদাহরণস্বরূপ তারা বলেছেন গতকালের ঘটনা। গতকাল যেভাবে মণিপুরের একটি ভিডিওকে শীতলকুচির বলে চালাচ্ছিল বিজেপি কর্মীরা, তাতে অশান্তি সৃষ্টির যে একটা পরিকল্পনা চলছে তা পরিষ্কার বলেছেন কয়েকজন তৃণমূল নেতৃত্ব। আর এবার বীজপুরের তৃণমূল নেতারা ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর একটি ফেক পোস্টকে ঘিরে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ওই পোস্ট দেখে তারা বলতে শুরু করেছেন যে, সাংসদ অর্জুন সিংও এখন ফেকু অর্জুন হয়ে গেছেন।
কিছুদিন আগে তিনি তাঁর ফেসবুক ওয়ালে একটি সিআইএসএফ জওয়ানের মুখের ক্ষত বিক্ষত ছবি দিয়ে সেটিকেও শীতলকুচির ঘটনা বলে চালিয়েছিলেন এবং জনগণকে প্রভাবিত করেছিলেন।
ছবিটির উপরে ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন,”একটা ছবি অনেকের মুখ বন্ধ করে দিতে পারে। মমতা ব্যানার্জী দাবি করেছিলেন,শীতলকুচিতে সিআইএসএফ জওয়ানদের ওপর হামলা করা হয়নি। কিন্তু আহত জওয়ানদের ছবিই হামলার ভয়াবহতা ব্যক্ত করে। এটি পরিষ্কার হয়ে গেল, মমতার উস্কানিতেই টিএমসির গুন্ডারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।”
ছবিটির সত্যতা যাচাইয়ের পর দেখা গেছে যে, যে আহত সিআইএসএফ জওয়ানের ছবি সাংসদ অর্জুন সিং পোস্ট করেছিলেন,সেটি আসলে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাঘমারার ঘটনা। সেখানকার ভিমাকানালি সিআইএসএফ ক্যাম্পে এএসআই এস পি শর্মার উপর লেঙ্গুর আক্রমণ করে এবং তিনি আহত হন। সেটি একটি জাতীয় হিন্দি দৈনিক সংবাদপত্রে ১০ এপ্রিল,২০১৯-এ প্রকাশিত হয়।
আর এই ছবি নিয়েই বিজেপি নেতারা শীতলকুচিতে স্থানীয়রা সিআইএসএফ জওয়ানদের ওপর হামলা করেছিল বলে চালিয়ে যাচ্ছিলেন এবং মানুষকে প্রভাবিত করেছিলেন।
কিন্তু সত্য সকলের সামনে আসার পরে সাংসদ অর্জুন সিং ওই পোস্টটি ডিলিট করে দেন, ঠিক গতকাল বীজপুরে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর মতো।
এরপর তৃণমূল নেতারা এখন বলছেন, সাংসদ অর্জুন সিং এখন ফেকু সাংসদ হয়ে গেছেন। আসলে বিজেপি দলের নেচারই তাই। মানুষকে ভুল বোঝানো, বিভ্রান্ত করা, দাঙ্গা সৃষ্টি ছাড়া তারা কিছুই জানেনা। এভাবে তারা যদি মানুষকে ভুল বোঝাতে থাকে তাহলে কি করে বাংলাকে সোনার বাংলা তৈরি করবে এবং এই বাংলা যে কোথায় যাবে তা এখন মানুষের কাছে পরিষ্কার।