অবতক খবর,১ ফেব্রুয়ারি :: হালিশহরে বিজেপি আয়োজিত পিঠে পুলি উৎসবকে কেন্দ্র করে যে দাহ্যকর্ম ঘটেছে তাতে তৃণমূল দল অভিযুক্ত, বলেছেন একদা তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা হালিশহর পৌরসভার উপ পৌর প্রধান এবং বিগ মিডিয়ায় যার নামে কিস্তির পর কিস্তি ব্যাপকভাবে দুর্নীতির অভিযোগপ্রকাশিত  হয়েছিল,। বর্তমানে যিনি বিজেপি নেতা রাজা দত্ত।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ নৈরাজ্যের রাজ্য। তবে তিনি যখন তৃণমূল দলে ছিলেন তখন সেটির অবস্থা কেমন ছিল তা তিনি বলেননি। তবে তিনি এখন বলছেন, সিপিএম রাজত্বেও এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন তৃণমূলের সন্ত্রাসে ভীত হবেন না।

রাজা দত্ত সরাসরি তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন এনআরসি, এনপিআর, সিএএ  যাই বলা হোক, এটা বৈচিত্রের দেশ। হিন্দু-মুসলিম সবাই থাকবেন শুধু থাকবে না একটি পরিবার, সেটি বেগম মমতার পরিবার। ২০২১- য়েই মমতা ফিনিশ। বুঝতে পারবে বিজেপি কী জিনিস!

তিনি বলেন, তৃণমূল দলটা বর্তমানে পুলিশই চালাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে বলতেন, সামনে কারা– তৃণমূল, পেছনে কারা– তৃণমূল, ডাইনে কারা– তৃণমূল, বায়ে কারা– তৃণমূল। সেটা এখন ভুলে বিলকুল। এখন তিনি বলছেন, কোন মূলটুল নেই,এখন সামনে পেছনে ডানে বামে চারিদিকে ঘিরে পুলিশকুল। পুলিশই রাজ্য চালাচ্ছে।

তিনি আরো বিস্ফোরক মন্তব্য করেন,থানাগুলি পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। আর সেখানকার আইসিরা হয়েছেন তৃণমূল টাউন কংগ্রেসের সভাপতি। আর জেলার সভাপতি হয়েছেন স্বাভাবিকভাবেই জেলার এসপি।

তাকে প্রশ্ন করা হয়, এই যে লোকউৎসব, এই নবান্নের উৎসব, এটা পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক উৎসব। এটা যে বানচাল করে দেওয়া হল, পুড়িয়ে দেওয়া হল ডাকসাইটে বিজেপি নেতা মুকুল রায়, বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, জেলা সভাপতি ফাল্গুনী পাত্রের ছবি,এ ব্যাপারে কি পুলিশ প্রশাসনের কাছে কোন অভিযোগ দায়ের করেছেন? তিনি বলেন, পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার কোন প্রয়োজন নেই। এরপর এর প্রতিষেধক হচ্ছে মারের পাল্টা মার। ‌