অবতক- এর বিশেষ লিখন
আজ নভেম্বর বিপ্লবের দিন
বাতাসে তুমুল স্লোগান– লেনিন! লেনিন!
লেনিন না হলে
তমাল সাহা
লেনিন না হলে এসব হতোই না!
তখন তোমার মুখের চৌতারায় বিন্দু বিন্দু ঘাম লেগে আছে,
যদিও সেটা ছিল হেমন্তকাল।
সকাল বেলা এই হিমেল বাতাসেও কি করে তোমার মুখে স্বেদবিন্দু জমে!
ট্রেন থেকে গাদাগাদি ভিড়ে নেমেছিলে। ধকল সইতে হয়েছিল নামতে, বুঝেছিলাম। তোমার সঙ্গে ছিল সাদা ফুলের মালা।
সে এসেছিল নয়নপুর থেকে। লাল পতাকা হাতে।
সুতানুটি স্টেশনে তোমাদের দেখা হয়ে গেল। এভাবেই লেনিন ও বুল ফিঞ্চ পাখির দেখা হয়েছিল।
তুমি বললে, কোথায় যাচ্ছ?
লেনিন স্কোয়ারে।
ওমা তাই নাকি! আমিও তো সেখানেই যাচ্ছি।
তাহলে চলো। এখান থেকে তো মিনিট কুড়ি লাগে। একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই।
আমি দূর থেকে দেখি সাদা ফুল লাল পতাকা আর দুজন পাশাপাশি হাঁটছে।
আমি এই দৃশ্যের একটা সমীকরণ তৈরি করতে থাকি। এর সঙ্গে রসায়ন যুক্ত হয়ে যায়।
তারপর ওরা পৌঁছে গেল লেনিন স্কোয়ারে।সে কী ভিড়! কিন্তু ওরা পাশাপাশি। লেনিনের গলায় শোভা পেল সাদা ফুলের মালা। লেনিনের দীর্ঘ মূর্তির পাশে লাল রঙের সৌন্দর্য ফুটে উঠলো।
গণিতে সমীকরণ বলে একটি অধ্যায় রয়েছে। রসায়নেও আছে। রসায়ন আগে, না গণিত আগে– এটা আমি জানিনা।
রাসায়নিক বিক্রিয়ার সঙ্গে সমীকরণ যুক্ত। দুটো বস্তুর সংযুক্তি ছাড়া রাসায়নিক বিক্রিয়া হয় না এবং তার সমীকরণ গঠন করা যায় না।
এখানে একটি সমীকরণ তৈরি হলো। বাঁদিকে দুটি জৈবিক বস্তু ছিল, বিক্রিয়ারত। ফলে ডান দিকে বিকিয়ালব্ধ ফল পাওয়া গেল!
লেনিন দূর থেকে এই দৃশ্য দেখে হাসে
ওরা এখন পরস্পরকে ভালবাসে।
ওরা ছিল অনেক দূরে হৃদয়পুর ও নয়নপুরে।এখন থাকে জীবনপুরে।
আসলে
এই ভালোবাসা সৃজনের জন্যই তো
পৃথিবীতে বৈপ্লবিক ঘটনা ঘটিয়েছিল লেনিন সাহসে ও বিশ্বাসে।
তাই ওরা দুজনে ফি বছর
এপ্রিল, নভেম্বর ও জানুয়ারি মাসে
লেনিনের মূর্তির পাদদেশে আসে।