অবতক খবর,৩১ ডিসেম্বর,মালদা: তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাংলাদেশি ! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন পাঁচ গ্রামবাসী ৷ মামলাটি বর্তমানে বিচারপতি অমৃতা সিনহার ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন ৷

তবে, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যে দু’বার মহকুমাশাসকের দফতরে এই নিয়ে শুনানি হয়েছে ৷ এবার সেই শুনানিতে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য ৷
মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুন ৷ অভিযোগ, ভুয়ো পিতৃপরিচয় এবং 11 জনের ভুয়ো সাক্ষ্য ব্যবহার করে ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করিয়েছেন তিনি ৷ আদতে তিনি বাংলাদেশি ৷

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যে ব্যক্তিকে বাবা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন তিনি ৷ সেই মুস্তাফার মেয়েই নন লাভলি খাতুন ৷ এমনকি 11 জন সাক্ষীর বয়ানে যে স্বাক্ষর রয়েছে, তাও জাল ৷এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে ৷ যদিও, অভিযুক্ত বাংলাদেশি পঞ্চায়েত প্রধান নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসাবে দাবি করছেন ৷ তবে, তিনি ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ৷
হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে ৷

অভিযোগ, তিনি ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে কংগ্রেসের টিকিটে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতেছিলেন ৷ এরপর শিবির বদল করে তৃণমূলে যোগ দেন ৷ আর তার পুরস্কারস্বরূপ পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারে বসেন লাভলি খাতুন। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষজন অভিযোগ করছিলেন যে লাভলি খাতুন ভারতীয় নাগরিক নন ৷ তিনি আদপে বাংলাদেশি ৷ তিনি জালিয়াতি করে ভোটার, আধার-সহ এদেশের সমস্ত পরিচয়পত্র হস্তগত করেছেন ৷ এই নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে একাধিক অভিযোগ দায়ের হলেও, কোনও তদন্ত হয়নি বলে অভিযোগ ৷ তাই শেষ পর্যন্ত এলাকার পাঁচ বাসিন্দা বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৷