অবতক খবর,২ ডিসেম্বর: তৃণমূল কাউন্সিলর পেশায় শিক্ষক, রয়েছে দ্বিতল পাকার বাড়ি। তবুও কাউন্সিলরের স্ত্রী পেলেন হাউস ফর অল এর বাড়ি, ঘটনায় শোরগোল।আর পৌরবাসীদের অভিযোগ, তারা বারে বারে পৌরসভায় জানিয়েও মেলেনি সরকারী বাড়ি।
ভাঙ্গাচোরা মাটির বাড়িতে- কেউবা ত্রিপল টাঙিয়ে করছে বসবাস। কারো আবার অভিযোগ, এলাকার নেতাদের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে না পারায় মেলেনি বাড়ি। এক পৌরবাসী বলেই দিলেন, হাউস ফর অল এর বাড়ির সকলেই পেয়েছে। যাদের রয়েছে একাধিক বড় বড় পাকার বাড়ি তারাও পেয়েছে সরকারি বাড়ি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর পৌরসভার এমনই ঘটনা।
রামজীবনপুর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভু দাস, পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক, শম্ভু দাসের রয়েছে একটি বিশাল দ্বিতল পাকার বাড়ি, তবুও শম্ভু দাসের স্ত্রী মনীষা দাস পেয়েছে হাউস ফর অল এর বাড়ি। ইতিমধ্যে সে বাড়ির কাজও শুরু হয়েছে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। প্রশ্ন উঠছে পৌর এলাকায় এখনো বহু, গৃহহীন মানুষ রয়েছেন যারা ভাঙাচোরা মাটির বাড়িতেই বসবাস করছেন,তাদের এখনো বাড়ি মেলেনি, আর তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে মিলল বাড়ি।
ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি, বিজেপি নেতৃত্বের দাবি যারা বাড়ি পাওয়ার যোগ্য তারা বাড়ি পাইনি। বাড়ি পাচ্ছে শুধু তৃণমূলের নেতারাই। এমনকি বহু আগে সরকারি বাড়ি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পৌরসভা ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে জানিয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে বিজেপির অভিযোগ ।
তবে যাই হোক সরকারি এই বাড়ি পৌর এলাকার বহু বাসিন্দা এখনো পায়নি , তবে এই নিয়ে তৃণমূল নেতাদেরই বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন পৌরবাসী ।
তবে এই দুর্নীতি অভিযোগ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান কল্যান তেওয়ারি।