আজ যোদ্ধা-নারী সাবিত্রীবাই ফুলের জন্মদিন- তাকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা

একটি ফুলের নাম
তমাল সাহা

যে মেয়েটি চাষার মেয়ে ছিল
আজ তাকে সেলাম।

যে মেয়েটি অর্ধেক আকাশের ভাবনা অনেক আগেই ভেবেছিল
আজ তাকে সেলাম।

যে মেয়েটি মেয়েদের জন্য
আঠারোটি স্কুল নির্মাণ করেছিল
আজ তাকে সেলাম।

যে মেয়েটি গোত্র-লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল
আজ তাকে সেলাম।

যে মেয়েটি ধর্ষিতা ও অনাথ প্রজন্মকে আশ্রয় দিয়েছিল
আজ তার পদপ্রান্তে রাখি প্রণাম।

সাবিত্রীবাই ফুলে তার নাম–
ফুলে! একটি প্রস্ফুটিত ফুলের নাম
একটি আক্ষরিক কবিতার নাম!

তাহলে আরো লিখি—

সহজে কি চেনা যায় জানা যায় তাকে?
সেই কত প্রাচীন কত কথা,প্রায় দুশো বছর চলে গিয়েছে এই ফাঁকে।

সাবিত্রী বাই ফুলে জন্মেছিল তো কিষাণ কুলে। অনেকে বলে মালীর মেয়ে মালাকার ফুল থেকে ফুলে।
তবুও সর্বসাধারণের দিকে
প্রান্তিক মানুষের দিকে ছিল তার চোখ।
কাজ করে গেছে একের পর এক, আঠারোটি স্কুল স্থাপন করেছে। এ এক দুঃসাহসী ঝোঁক।

প্রধান শিক্ষিকা হয়েছিল সেই কালে। নারীশিক্ষা শিশুশিক্ষার দায় নিয়েছিল তুলে। তার নিশ্চিত আশ্রয়ে ছিল ধর্ষিতারা।
সেই কতকাল আগে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল এইসব প্রিয়তমা নারীরা।
সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে তার কবিতা, দিগন্ত লাল হয়ে ওঠে ভোরের সবিতা।

এ জন্যই নারীদের প্রতি আমার পক্ষপাত।
তাই সোচ্চারে সরবে বলি সব নিপাত যাক।
দ্বিধা নেই কোনো– নারীরা আমার থাক।