বিশ্বকর্মা পূজা এসে গেছে‌ বিশাল আকাশে উড়বে ঘুড়িগুলি।
ঘুড়ির মধ্যে লেখা আছে কত প্রেমের পদাবলী!

ঘুড়ি
তমাল সাহা

তখন তো বিশ্বকর্মা পুজো তখন তো হাতে লাটাই ঘুড়ি
তখন তো তোমার চোখে আমার চোখ
তখন তো চারটি চোখে ভীষণ ওড়া উড়ি
তখন আমি ঘুড়ি হাতে ছাতে
তখন তুমি শাড়ি শুকোতে
মা যাচ্ছি! উপরে অজুহাতে
পাশাপাশি থাকলে বাড়ি কার্নিস টপকানো যায়
ঘুড়ির নামে ভালোবাসা উড়িয়ে দিলাম হায়!
এসব কথা সেসব কথা
এখন খুলে বলি
পাশের বাড়ি আগুন ছিল জল ঢালতে বালতি নিয়ে চলি।

শরতে নীল আকাশ ছিল
পেঁজাতুলো মেঘ উড়ে যায়…
ঘুড়ির ইচ্ছে তাকে ছোঁবে।
সে ভাবে
বিশ্বকর্মা পুজো আসবে কবে!

কৈশোর ফিরে আসে
কিশোরটি ঘুড়ি লাটাই হাতে
উঠে যায় ছাতে।
সঙ্গে তার কিশোরীটিও উঠে পড়ে
কোন অজানা মৌতাতে!

কিশোরের হাতে লাটাই
সুতো টেনে নিয়ে যায় কিশোরী।
ঢিলা মাঞ্জায় পড়ে টান
তনু লতায় রসায়ন শুরু
রক্তের ভিতরে শুদ্ধ অম্লজান
ভালোবাসার কথা লেখে জীবন বিজ্ঞান!

কিশোরী নিজের হাতে উড়িয়ে দেয়
কিশোরের পেটকাটি চাঁদিয়াল।
তারপর ছুটে আসে
কিশোরের পাশে
মুক্তি পায় দুরন্ত আড়াল!

ঘুড়ি ভোকাট্টা হয়,হতেই পারে
সে তো ভালোবাসা ও বিষাদ শেখায়
রাই কিশোরী চেয়ে থাকে বনমালীর দিকে
কোথায় যেন বাঁশি বেজে যায়…
বুকে মাথা রেখে কেঁদে ফেললে
সম্পর্ক হয় প্রগাঢ়।
কিশোর কিশোরী বড় হয়
তারা কাছাকাছি হয় আরো।

ঘুড়ি! ঘুডি! ঘুড়ি।
বিশাল আকাশ মুক্তির উড়ান
মুক্ত আমার কিশোর কিশোরী।