অবতক খবর,৩১ আগস্ট,মালদা- তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি প্রধানশিক্ষকের। এই শিক্ষক নিজেও তৃণমূল কর্মী, তৃণমূল সমর্থিত শিক্ষক সংগঠনের যুক্ত। তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে ক্যানসার আক্রান্ত এই শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি। শয্যাশায়ী অসুস্থ এই শিক্ষকের চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই, চিকিৎসা প্রায় বন্ধ, পরিবারের অন্ন সংস্থান কীভাবে হবে সেটাও বড় প্রশ্ন।

মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা সুব্রত কুমার রায়, এম বি দূর্লভপুর হাইস্কুল এর প্রধান শিক্ষক।স্থানীয় তৃণমূল নেতা সন্তোষ, যিনি ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ স্কুল থেকে সুব্রত রায়কে সরানোর চেষ্টা করেন তিনি,বিভিন্ন ভাবে তাঁকে উত্যক্ত, অপদস্ত ও অপমান করেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ একজন শিক্ষককে জোর করে টিআইসি করেন নিজের প্রভাব আর দাপট দেখিয়ে। এই বছরের জানুয়ারি মাসে সুব্রত রায় ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে কয়েকদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। আর সেই সুযোগটাই নিয়ে ফেলেন তিনি।

এরপর সুব্রত রায় স্কুল, ম্যানেজিং কমিটিকে চিঠি দিয়ে নিজের অসুস্থতার খবর দেন। মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেন। কিন্তু উলটে তাঁকে স্কুলে ঢুকতে বারণ করে দেওয়া হয়। হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। তবু অসুস্থ শরীরে সুব্রত রায় স্কুলে গিয়ে নতুন করে আবার চিঠি দিতে গেলে স্কুলে তাঁর সেই চিঠি ছিঁড়ে ফেলেন তৃণমূল নেতা সন্তোষ। শুধু তাই নয় তাঁকে চুড়ান্ত হেনস্থা করে ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর নিজেদের মর্জিমত রেজুলেশন পাশ করিয়ে তাঁর বেতন বন্ধ করা হয়। বিষয়টি পরে ডি আই, জেলা শাসককে চিঠি দিয়েও জানান সুব্রত রায়। অসুস্থ শরীরে স্কুলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁকে যেতে দেওয়া হয় নি।

নিয়মিত হুমকি শুনতে হয়েছে। গত কিছুদিন ধরে চুড়ান্ত অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি। আবারও ডি আই, জেলা শাসক এবং শিক্ষা মন্ত্রীকেও চিঠি দিয়ে বিস্তারিত জানান। ক্রমশ পরিবার নিয়ে পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে উঠলে স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করেন এই প্রধানশিক্ষক।