অবতক খবর,২ এপ্রিল: দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজারহাট বিডিও ঋষিকা দাস ও রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর।

রাজারহাট বিডিও ঋষিকা দাস বলেন,ভালোই সাড়া পাওয়া গেছে যেহেতু দুয়ারে সরকারের এটা ৬ নাম্বার ক্যাম্প চলছে সেই হিসেবে ভিড়টা আগের বারের তুলনায় অনেকটাই কম। লক্ষীর ভান্ডারে ২৫৬ টি ফর্ম জমা পড়েছে, স্বাস্থ্যসাথীতে ১১৭টি ফর্ম জমা পড়েছে, বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় ২০০ টি ফর্ম জমা পড়েছে, ইলেকট্রিক ডিপার্টমেন্টে ৫০টি ফর্ম জমা পড়েছে, ইলেকট্রিসিটির যেহেতু আজকে প্রথম দিন সে ক্ষেত্রে ফর্ম কম জমা পড়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছিল।

যেসব পরিষেবা নতুন যুক্ত হয়েছে—

সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড যারা যে বিজনেসটা করবে তাদেরকে সেটা বলতে হবে। লোনের সীমাবদ্ধ আছে পাঁচ লাখ ব্যাংক যখন তাদেরকে দেবে ব্যাঙ্ক দেখে নেবে সে যেন ভুল না হয়, ভুল হলে অসুবিধায় পড়তে পারে লোক আসছে ফর্ম নিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এবার দেখলাম আপনারা একটা অভিযোগ বাক্স রেখেছেন কোন অভিযোগ কি জমা পড়লো।

অভিযোগ এখনও পর্যন্ত সেইভাবে জমা হয়নি। অন্যান্য সব ক্যাম্পেই অভিযোগ বাক্স রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে অভিযোগ বাক্স খুলে দেখবো না অভিযোগের সংখ্যাটা কম।

অনেক মানুষ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে লাভবান হচ্ছে না-

কেউ যদি একা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করতে আসে পরিবারের লোক বাদ দিয়ে তাহলে তিনি কিন্তু বেনিফিট হবেন না এই ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে তার জন্য ফ্যামিলির সঙ্গে যুক্ত করে জমা দিন।

আর একটা সমস্যা হচ্ছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে-

স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডটা যতক্ষণ না সার্চ করা যাচ্ছে ততক্ষণ অব্দি লক্ষীর ভান্ডারের বেনিফিট সে পাবে না, ধরুন আমার লক্ষীর ভান্ডার এর ফর্ম ফিলাপ করানো আছে। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড এর ফর্ম ফিলাপ করলাম যতক্ষণ না ছাত্র-ছাত্রী কার্ড স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এপ্রুভ হচ্ছে ততক্ষণ অব্দি লক্ষ্মীর ভান্ডারের বেনিফিট সে পাবে না।

কমপ্লেন বক্সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের একটি কন্ট্রোল রুম আছে যেখানে আমাদের আধিকারিকদের নাম ও ফোন নাম্বার দিয়ে দেওয়া আছে এছাড়াও আমাদের কন্ট্রোল রুমের নাম্বারটি হল 8017904430 এটা আমাদের কন্ট্রোল রুম নাম্বার রাজারহাট দুয়ারে সরকার চলাকালীন কোন অসুবিধা হলে কন্ট্রোল রুমের এই নাম্বারে ফোন করে জানাতে পারবেন।

রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর জানান,

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে কি রকম সাড়া পাচ্ছেন

অনেকের ধারণা ছিল অধিকাংশ মানুষ পরিষেবা পেয়ে গেছেন আর ক্যাম্পে কেউ আসবেন না সে ক্ষেত্রে দেখা গেল বিভিন্ন জায়গায় যে ক্যাম্প হচ্ছে সেখানে অধিকাংশই মানুষ আসছেন। আমি আশা করি আগামী দিনেও মানুষ আসবেন যেহেতু জানেন ১০ তারিখ পর্যন্ত সুযোগ পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন এটাকে মানুষের দরজায় পৌঁছে দিতে একটা মানুষও যেন বঞ্চিত না হন। এই পরিষেবা থেকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বুথে বুথে যেতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি প্রত্যেক বুথে বুথে যাওয়ার অনেকেই আছেন নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কিছু কিছু মানুষের কাগজপত্রে অসুবিধা ছিল আগের পাঁচবারের হয়নি, এতদিন কাগজপত্র ঠিক করার সুযোগ এখন সেই সুযোগটা নেয়ার জন্য তারা ক্যাম্পে আসছেন আগামী দিনে সেই ভাবেই মানুষ ক্যাম্পে আসবে।

লক্ষীর ভান্ডার ও স্বাস্থ্য সাথী চাহিদা বেশি, সেক্ষেত্রে ১০০% হচ্ছে না কেন,

অনেকে ভুল বুঝছে সরকার দিচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে আমরা যদি খতিয়ে দেখি কাগজপত্র ঘেটে দেখা যাবে ব্যাংকের কোথাও অসুবিধা আছে যাদের টাকা ঢুকছে না সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ব্যাংকের কাগজপত্র ঠিকঠাক করলেই আবার তাদের টাকা ব্যাংকে ঢুকছে। এতো মানুষকে দিতে পারছেন আর অল্প কিছু মানুষকে দিতে পারবে না।

বিভিন্ন ক্যাম্পের থেকে মানুষকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই কাগজ ঠিক নেই ওই কাগজ ঠিক নেই এখানে যান ওখানে যান বলে অভিযোগ-

এটা কেউ যদি বলে থাকে ভুল বলেছে, আমরা প্রতিটি জায়গায় ঘুরছি। আমাদের আধিকারিকদের বলা আছে। কোন টেবিল ফাঁকা নেই এক একটা পঞ্চায়েতে ৬-৮টা করে ক্যাম্প হচ্ছে। আমাদের ব্লকে ৫০-৬০টা ক্যাম্প হয়েছে। কেউ হয়তো ব্যক্তিগতভাবে কাগজপত্র ঠিকঠাক জমা দিতে পারিনি তাই হয়তো বলেছে। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন প্রত্যেকটি মানুষকে ধরে ধরে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বাড়িতে গিয়েও পৌঁছে দিতে। সেখানে তাকে ক্যাম্প থেকে কি করে বঞ্চিত করবে গন্ডগোল থাকতে পারে, আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা সেসব কাগজপত্র ঠিক করে আবার জমা দেবো।