অবতক খবর,৩০ জুন: কাঁচরাপাড়া থেকে ধর্মতলা যে ৮৫ নং রুটে এসবিএসটিসি-র যে সরকারি বাস চলাচল করছে এ নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। এইদিকে গতকাল বিভিন্নভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে যে, এই বাস চলাচলের মূল ভূমিকায় রয়েছেন বীজপুর বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। উল্লেখ্য, এর প্রমাণ সাপেক্ষে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে লেখা একটি চিঠির বয়ান ওদেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে,এই বয়ানটি ২০১৭ সালে লেখা। এদিকে কাঁচরাপাড়ার পৌরপ্রধান বর্তমানে পৌর প্রশাসক সুদামা রায় জানাচ্ছেন যে,না এই লকডাউন পিরিয়ডে তিনিই বিশেষভাবে আবেদন করেছিলেন সরকারের কাছে এবং পরিবহন মন্ত্রীর কাছে কাঁচরাপাড়া থেকে কলকাতা পর্যন্ত একটি বাস চলাচলের জন্য।

তিনি প্রশ্ন করছেন,এই চিঠিটি বিধায়ক লিখেছেন, তিনি যখন তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন অর্থাৎ ২০১৭ সালে। আজ তিনবছর অতিক্রান্ত। তিনি এই বাস পরিষেবাটি তিন বছরের মধ্যে চালু করতে পারলেন না কেন? হঠাৎ করে তিনি বিজেপির সদস্য হলেন, একথা অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই। তৃণমূল সরকার তার আবেদনে সাড়া দিয়ে যদি এখন বাস পরিষেবা চালু করে তবে তিনি যখন তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন তখন এটি চালু করতে পারলেন না কেন? অর্থাৎ এই সরকারি পরিষেবা নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে সেটি অমূলক।
বীজপুরের এই যে বিজেপি বিধায়ক তিনি এখন তার কৃতিত্ব নিতে চাইছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও তার প্রচার দিয়েছেন।

সুদামা রায়ের প্রশ্ন যে, তিনি তৃণমূল বিধায়ক থাকতে এই কাজটি করে দিতে পারেন নি কেন? আরো একটি প্রশ্ন,এই যে কাঁচরাপাড়ার বাস টার্মিনাস যেটি জোনপুর থেকে চালু হওয়ার কথা ছিল সে ব্যাপারে তাঁর ভূমিকা কি? সেই টার্মিনালটি দুবার করে উদ্বোধন হয়েছে। তাঁর পিতাও উদ্বোধন করেছিলেন নেতা হিসেবে। সেইখান থেকে টার্মিনাস তিনি চালু করতে পারলেন না কেন?

পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, প্রশাসক হিসেবে আমি এটি বিশেষভাবে আবেদন করেছিলাম। সেই কারণেই এই পরিষেবা চালু হয়েছে। উল্টো দিকে জল ঘোলা করে বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং সিপিএমও এর কৃতিত্ব নিতে চাইছে। সেখানে সিপিএম এরিয়া সম্পাদক দেবাশিস রক্ষিতকে বাস চলাচলের ব্যাপারে একটা ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে। পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই যে তিনি সুযোগটি গ্রহণ করছেন। আসলে তিনি ট্রান্সপোর্ট বিভাগের একজন কর্মী। লকডাউন অবস্থায় তিনি তার নিজস্ব কর্মস্থলে যেতে পারছেন না,সেই জন্যই এই অঞ্চলের বাস পরিষেবা পরিচালনা এবং দেখভালের দায়িত্ব তার ওপর দেওয়া হয়েছে। এক কথায় তাকে এখানে ডিউটি দেওয়া হয়েছে। ‌তিনি সেই সুযোগটি নিয়ে রাজনৈতিকভাবে সিপিএম দলের প্রচার করতে চাইছেন। ‌