৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে কাঁচরাপাড়া পৌরসভায় উদ্বোধন হল স্বামী বিবেকানন্দ সভা কক্ষ

অবতক খবর,২৬ জানুয়ারি: আজ ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসে কাঁচরাপাড়া পৌরসভায় উদ্বোধন হয়ে গেল বিবেকানন্দ কক্ষ। স্বামী বিবেকানন্দকে স্মরণ করে, তাঁর স্মৃতিতে পৌরসভায় বিবেকানন্দ কক্ষ তৈরি করা হয়েছে।

আজ সর্বপ্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে পৌরসভা প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পৌরপ্রশাসক সুদামা রায় ও নেতাজি মূর্তি ওপরে মালা দিলেন বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন কাঁচরাপাড়া পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক সুদামা রায়,উপ প্রশাসক অশোক মন্ডল, এক্সিকিউটিভ অফিসার সঞ্জীব বড়ুয়া,এফও তাপস মন্ডল, দেবাশিস বাবু এবং ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর সহ অন্যান্যরা।

আজকের এই বিশেষ দিনে পৌরসভার পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করা হয় বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং মুখ্য প্রশাসক সুদামা রায়কে।‌

পরবর্তীতে তারা পৌরসভার দ তৃতীয় তলে বিবেকানন্দ কক্ষ উদ্বোধন করেন। এই কক্ষের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বামী বিবেকানন্দ সভা কক্ষ’।

ব্যারাকপুর সাব ডিভিশন এর মধ্যে এই প্রথম কোনো ডিজিটাল সভাকক্ষের শুভ উদ্বোধন হল। করোনার তালে যেভাবে ভিডিও কনফারেন্সে মানুষের মধ্যে কথা হচ্ছে তারই সুবিধার্থে বিধায়ক ও পৌরসভার পৌর প্রশাসক এর তৎপরতায় করা হলো এই ডিজিটাল সভা কক্ষ।

এটি একটি ডিজিটাল মিডিয়া রুম। যেখানে থাকছে ডিজিটাল মাধ্যমের সমস্ত রকম সুবিধা। যেহেতু এই করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শুরু করেসব কিছুই অনলাইনে হচ্ছে,সেই সব দিক মাথায় রেখেই এরকম একটি ডিজিটাল সভা কক্ষ তৈরি করা হয়। ‌

এ বিষয়ে বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী বলেন, এখন যেহেতু সবকিছু অনলাইনে হচ্ছে সেই কারণে এরকম একটি সভাকক্ষের অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। আর পৌরসভার তরফ থেকে এটি তৈরি করায় আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। এর মাধ্যমে আমরা সরাসরি সকল প্রশাসনিক বৈঠক কিংবা সাধারণ মানুষ, সকলের সাথেই অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারব এবং যার ফলে মানুষের অনেক সুবিধাও হবে।

অন্যদিকে পৌর প্রশাসক সুদামা রায় জানান, এখন ডিজিটাল যুগ। তাই ডিজিটালি সবকিছু করতে আমাদের এই ভাবনা। কেউ যদি সশরীরে কোন বৈঠকে উপস্থিত হতে না পারেন, তবে আমরা তার সাথে অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারব। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ৫০ জনের বেশি মানুষ একসাথে এই কক্ষে উপস্থিত থাকতে পারবেন। এই কক্ষটিও সম্পূর্ণ সিসিটিভির আওতায় থাকবে। ‌