অবতক খবর,৩ মার্চ: আজ কাঁচরাপাড়া লেলিন সরণি স্থিত চৌহান কমপ্লেক্সের সামনে ৭ই মার্চ বিজেপির আয়োজনে যে ব্রিগেড চলো সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে তার প্রচারে নেমে পড়ে বিজেপি দল। এতে মুখ্য বক্তা ছিলেন বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায়,ছাত্র নেতা স্বাগতম দাস এবং জেলা নেতা প্রিয়াঙ্কু পান্ডে, বিমলেশ তিওয়ারি ও অন্যান্য বিজেপি নেতৃবর্গ।

৭ই মার্চ ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসছেন। তার প্রচারে ব্রিগেডকে বৃহত্তম জনসমাবেশে পরিণত করার জন্য কাঁচরাপাড়ার মানুষের কাছে বিভিন্ন বক্তারা বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখযোগ্য বক্তা ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য সুপ্রিয় ঘোষ। তিনি বিস্তৃতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে যে একটা দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার মধ্যে নিয়ে গিয়েছেন, বাংলাকে যে একটা সংস্কৃতিবিহীন রাজ্যতে পরিণত করেছেন ,এ ব্যাপারে তিনি সরব হন। তিনি সমস্ত দুর্নীতিগুলি তুলে ধরেন। তারা ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গকে নতুনভাবে গড়ে তুলবেন,সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান।

অন্যদিকে বক্তব্য রাখেন বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। তুমি প্রথমে উন্নয়নের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বীজপুরের উন্নয়নের কান্ডারী বলে নিজেই নিজেকে ঘোষণা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বীজপুরে যদি উন্নয়ন হয়ে থাকে তবে কল্যাণীতে উন্নয়ন হয়নি কেন? কেন গয়েশপুরে উন্নয়ন হয়নি? তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের টাকাতেই তো উন্নয়ন হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকাতেই তো উন্নয়ন হয়েছে। আসলে রাজ্য সরকারের টাকা বড় কথা নয়, বিধায়ক যদি সক্রিয় না হন, তার যদি এলাকা উন্নয়নের আগ্রহ না থাকে তবে কোন বিধানসভা কেন্দ্রে উন্নয়ন করা সম্ভব নয় এবং তিনি যে উন্নয়নমূলক কার্যকলাপগুলো করেছিলেন সেগুলো কেন এখন সুষ্ঠুভাবে নজরদারি করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ তোলেন। তিনি পরিষ্কার বলেন এটা কাটমানির সরকার। তিনি আবার বলেন যে,যদি তিনি বা তাঁর পিতা যেই এখান থেকে নির্বাচিত হোক না কেন,তারা জিতবেনই। ক্ষমতায় এলে তারা বীজপুরের মানুষকে চাকরি দেবেন। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যাওয়ার আগে বলেছিলেন যে,বীজপুরের মানুষের চাকরির প্রতিশ্রুতি না পেলে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন না। তিনি হয়তো সেই স্মৃতি ভুলে গিয়েছেন।

অন্যদিকে তিনি বলেন যে, কাঁচরাপাড়ায় যে লুম্পেনবাজি, দুর্বৃত্তায়ন চলছে সেটি তিনি বন্ধ করে দেবেন। তিনি জনৈক তৃণমূলী ঘোষের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিষোদগার করেন। তিনি কি করে অর্থকরী ব্যবস্থা করেছেন, কিভাবে এত ভাল হালে আছেন, পৌরসভায় মেয়ের চাকরি করে দিয়েছেন সেই সব প্রশ্ন তোলেন। তিনি ”ঘোষ” উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেন। পরিষ্কারভাবে তার নাম উল্লেখ করেননি। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন যে, লিচুবাগান স্থিত কোন “মাতব্বর ঘোষের” উদ্দেশ্যে তিনি বিরূপ এবং বিদ্রূপাত্মক এইসব মন্তব্য করছেন। কারণ গতকাল এই ‘ঘোষ’ বিধায়কের বাড়ির সামনে তার ব্যাপক সম্পত্তি ও আয়ের বৈধতা, বিএড কলেজ, জে এন এম এস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

আজকের বক্তৃতার মূল স্রোত ছিল ব্রিগেড সমাবেশকে সফল করা এবং আগামীদিনে বিজেপি সরকারে আসবেই এরকম একটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া। শুভ্রাংশু রায় বলেন যে, ২০০-র বেশি আসন বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে পাচ্ছেই।