অবতক খবর,২৫ জানুয়ারিঃ ২৭ তম বাংলার যাত্রা উৎসবের সূচনা হল বারাসাতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই যাত্রা উৎসব হয়ে আসছে রাজ্যের নানা প্রান্তের যাত্রা শিল্পীদের নিয়ে। প্রযুক্তির যুগে অনেকটাই পেছনের সারিতে চলে গিয়েছিল এই শিল্প। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের রুটি-রোজির টান পড়তে শুরু করেছিল। পরবর্তীতে বাম জমানার অবসান ও তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই যাত্রা শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যাত্রা উৎসবের সূচনা করেছিলেন বারাসাতের কাছারি ময়দান থেকেই। তারপর থেকেই বারাসাতের কাছারি ময়দানে হয়ে আসছে বাংলার এই যাত্রা উৎসব।মঙ্গলবার এদিন এই বছরের যাত্রা উৎসবের সূচনা করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ঘন্টা বাজিয়ে এই যাত্রা উৎসবের সূচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু সহ বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীনা মন্ডল সহ অন্যান্য বিধায়ক ও বারাসত, মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান সহ পৌর প্রতিনিধিরা। এদিন এই উৎসবের সূচনা হলেও রাজ্যের নানা প্রান্তে বেশ কিছুদিন ধরে চলবে এই যাত্রা উৎসব বিভিন্ন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে নানা যাত্রা পালা। ফলে যাত্রাশিল্প আগের থেকে অনেকটাই বিস্তার লাভ করেছে বলে জানালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এমনকি যাত্রা শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের তরফ থেকে ১০০০ যাত্রা শিল্পীদের হাতে ভাতা তুলে দেওয়া হয় বলেও জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি গ্রাম ছাড়িয়ে এখন শহর ও শহরতলী তেও যাত্রা পৌঁছে গিয়েছে, বহু মানুষ এখন এই যাত্রা দেখেন বলেও জানান মন্ত্রী। এদিনের যাত্রা উৎসব ঘিরে যাত্রা শিল্পী সহ দর্শক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এক আলাদা উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিন বেশ কিছু ছোট শিশু থেকে বড় দের হাতে প্রীতি শীতবস্ত্র উপহার প্রদান করা হয় মঞ্চে। কোথায় এলাকা সাজিয়ে তোলা হয়েছে পাশাপাশি বেশ কয়েকটি যাত্রাপালা এই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানা গিয়েছে।