২৬ জুলাই। এই দিন ১৮৫৬ সালে বিধবা বিবাহ প্রচলন আইনিভাবে মান্যতা পায়। সেটা লর্ড ডালহৌসির আমল। তিনি বিদ্যাসাগরের সহযোগী হয়েছিলেন এই সামাজিক কল্যাণব্রত সাধনে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ৯৮৭জন। তার বিরুদ্ধাচারণ করেছিলেন তৎকালীন ব্যক্তিত্ব রাধাকান্ত দেবের নেতৃত্বে ৩৬৭৬৩ জন। তবুও জিতে গিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

২৬ জুলাই ১৮৫৬
তমাল সাহা

আজ সেইদিন জাগতিক অন্ধকার কেটে যায়।
বৃষ্টি হয়েছিল কি সেইদিন, নেমেছিল কি শ্রাবণ ধারা?
বিধবা মেয়েটি দাঁড়িয়েছিল কি খোলা জানালায়
উজ্জ্বল কোনো রশ্মি কি ঘিরে ধরেছিল তাকে
আলোর স্পর্শে কি নতুন কোনো ছবি
সে এঁকেছিল নীল চোখের তারায়?

যৌন ব্যাভিচার অসহায়তা থেকে তাকে
কে এনেছিল আলোর প্রহরে?
সে দেখে লর্ড ডালহৌসি ও বিদ্যাসাগর
কড়া নাড়ে, দাঁড়িয়ে আছে দরজায়।
মেয়েটি ঝুঁকে প্রণাম রাখে তাদের পায়ের পাতায়।

তারপর সেই শুভদিন ৭ ডিসেম্বর, ১৮৫৬ আসে–
আনন্দের ঐশ্বর্য খেলে বেড়ায়।
শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক হাত বাড়ালে
কালীমতি দেবী বৈধব্যের শাড়ি ছুঁড়ে ফেলে দেয় দূরে
তাকে ছুঁয়ে পাশাপাশি দাঁড়ায়।

মাঙ্গলিক শঙ্খনাদ বাতাসে ভাসতে ভাসতে বহুদূর চলে যায়!