অবতক খবর,৩ জুলাই: মান্ধারী বাজারের রথযাত্রা ২০১৯ সালে শুরু হয়। প্রথমবারই অত্যন্ত জাঁকজমক সহকারে এই মেলার সূচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জগন্নাথ সুভদ্রা বলরাম তিনটি মূর্তি ওড়িশা থেকে তৈরি করে আনা হয় এবং ওড়িশার পন্ডিতেরাই সেই মূর্তির পূজাপাঠ সারেন এবং রথে প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম বছরটি ছিল একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়।

রথটি ১৫ ফুট উঁচু। বিশেষ করে ১৫ এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অধিবাসীদের কাছে ছিল এটি একটি পরমপ্রাপ্তি। করোনাকালে ২০২০ এবং ২০২১ সালে রথযাত্রা মহাদুর্যোগের কারণে বন্ধ ছিল। এবছর আবার রথযাত্রা শুরু হয়। রথের দিন অত্যন্ত আড়ম্বরে রথযাত্রা আয়োজিত হয়। কাটোয়া থেকে আগত ১১ জন মহিলা এবং বাগের খাল সংলগ্ন ধরমবীর কলোনী থেকে ১১ জন ঢাকি জয়ঢাকের বাদ্যনাদ নিয়ে এই রথযাত্রা শুরু হয়। সঙ্গে ছিল জীবন্ত মডেল শ্রীচৈতন্যদেব,শ্রী নিত্যানন্দ,জগাই-মাধাই ও মিষ্টির হাঁড়ি হাতে গোপাল ভাঁড়ের মডেল। কীর্তন সহযোগে শাঁখ উলুধ্বনি দিয়ে অঞ্চলের সমবেত মহিলারা রথযাত্রা শুরু করেন।

এই রথ মান্ধারী বাজার থেকে যাত্রা করে ধোবীপুকুর রোড হয়ে থানার মোড়,থানার মোড় থেকে গান্ধীমোড় হয়ে আবার মান্ধারী বাজার শিব মন্দির অঞ্চলে ফিরে আসে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় অঞ্চল পরিক্রমা করে এই রথ। রথের দিন মানুষের মধ্যে মালপোয়া,লাড্ডু এবং ফল প্রসাদ বিতরণ করা হয়। ১৫ এবং ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যথাক্রমে অশোক তালুকদার এবং অলোকময় লাহিড়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এই মেলার অন্যতম উদ্যোক্তা লক্ষ্মীধর বাউটের নেতৃত্বে রথযাত্রার অনুষ্ঠানটি সুসম্পন্ন হয়।

আয়োজকরা জানান, উল্টো রথের দিন আবার রথ পরিক্রমা করবে। অনুষ্ঠান শেষে মান্ধারীবাজারের শিব মন্দিরে জগন্নাথের জন্য যে আলাদা কোঠা তৈরি করা হয়েছে সেখানে তাঁর নিত্য পূজা হবে।