অবতক খবর,১৮ জুলাইঃ খড়দহ বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরদের নিয়ে ২১ শে জুলাই ধর্মতলা শহীদ সমাবেশকে সফল করতে খড়দহ রবীন্দ্র ভবনে সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হল বিরাট কর্মীসভা। ২১ শে জুলাই অমর শহিদ স্মরণে ধর্মতলা সমাবেশ বিগত ২৯ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে মন্তব্য রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের।

তিনি বলেন, মূল লড়াই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সেই ‘২৪ এর জন্য তৈরি হচ্ছি। মন্ত্রী সাংবাদিক দের মুখোমুখি হয়ে বলেন আগামী ২০২৪ এর পর অস্তিত্বের সংকটে পড়বে বিজেপি এবং অন্যান্য দলগুলি। জোর গলায় বলছি। লিখে রেখে দিন।পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দের জয় কোর্টের নিরন্তরে নিয়ে মন্ত্রীর দাবি কোর্টের কিন্তু নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ওপর কিছু বলার নেই।বাতিল করার কোন ক্ষমতা নেই। তারা অন্য কথা বলতে পারে। নির্বাচন কমিশনই বলতে পারে সে কথা সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে। গণতন্ত্র কে কেউ ব্রেক করতে পারে না। সে যত বড় জজ হোক। কিংবা প্রধানমন্ত্রী বা রাজ্যপাল হোক। সংবিধান মানতে হবে। বিচারপতি দের উদ্দেশ্য মন্ত্রীর কটাক্ষ তারা যে চেয়ারে বসে আছেন সমালোচনার জায়গায়। ভাবতে হচ্ছে একতরফা একের পর এক রায় হয়ে যাচ্ছে। এটা ভাবা দরকার আছে।যে খুন করে যাচ্ছে তার নিরাপত্তা দিতে হবে। যে গন্ডগোল পাকিয়ে যাচ্ছে তার নিরাপত্তা দিতে হবে। তারপরও সে নিরাপত্তা পায় কি করে। শুভেন্দু নিজে মুখে বলছে ৩৫৫ কি করে আদায় করতে হয় জানি। সে এই সব গন্ডগোল মূল কালপিট। পরিকল্পনা মাফিক এইসব করেছে বলে দাবি কৃষি মন্ত্রীর। রাজ্য মহারাষ্ট্র মডেল নিয়ে সুকান্ত মজুমদার কে কটাক্ষ করে মন্ত্রী বলেন এই স্বপ্ন অনেদিন ধরে দেখছে। আগামী ২৪ এর পর অস্তিত্বের সংকটে পড়বে বিজেপি এবং অন্যান্য দল গুলি বলেন মন্ত্রী জোর গলায়। মন্ত্রী একুশে জুলাই স্মৃতি চারণ করে বলেন অনেক আন্দোলনে ছিলাম মমতার সাথে। নিজেও আন্দোলন করেছি অনেক। সেদিনের স্মৃতি কথায় বলেন চারিদিকে রক্তের বন্যা বইছে। মার খাচ্ছে গুলি খেয়ে। চোখের সামনে দেখছি।একটার পর একটা মানুষ মারা যাচ্ছে। শুধু জল জল বলে চিৎকার কান্না। এ দৃশ্য আগে দেখিনি। একটা গুলির আওয়াজ কোথাও হয় নি। দু একটা ইট পাটকেল ছুড়ে ছিল। পরের দিন কাগজে বেরোলো ১৩ জন মারা গেছেন। কোথায় কোন হাসপাতালে একজন পুলিশ কেও ট্রিটমেন্ট করতে দেখিনি। আহত ও নিহত হয়েছেন কর্মীরা। পরের দিন তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বলেছেন ওয়েল ডান বাই বয়েজ। সম্বোধন করেছিল। মনে থাকার কথা।