অবতক খবর,২ জুলাই,নববারাকপুরঃ  দু বছর পর এবারের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ নিয়ে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। এবছরের একুশে জুলাই সারা দেশে নজির গড়বে। সারা ভারত তাকিয়ে রয়েছে একুশে জুলাইয়ের দিকে। শহিদ স্মরণে অমর একুশে জুলাই ধর্মতলা চলো সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে নববারাকপুর শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে বুধবার সন্ধ্যায় অনুভব ভবনের দ্বিতলে হল প্রস্তুতি সভা।

সভাকে সর্বান্তকরনে সফল করতে এবং নববারাকপুর থেকে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের জমায়েত করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রায় একমাস আগে থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে নববারাকপুর শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মীবৃন্দ ।শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের দেওয়াল লিখন ও শুর হয়ে গিয়েছে। প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, স্হানীয় কাউন্সিলর নীতা দে সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গন ও পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীবৃন্দ সমর্থকরা।পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা বলেন ২১ জুলাই ১৯৯৩ সাল একটি বেদনাদায়ক দিন। ধর্মতলা শহিদ দিবসে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে বার্তা দেবেন।

সেই বার্তা নববারাকপুর শহরের ২০ টি ওয়ার্ডে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন তৃণমূল নেতৃত্ব রা। নেত্রী বলেছেন উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে ।নববারাকপুর শহরে একটি পরিবারের মতো কাজ করছে শহর জুড়ে। ১৯ টি ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি রয়েছেন ।উন্নয়ন কে মানুষের কাছে এগিয়ে নিয়ে যেতে শহরের ছাত্র যুব ভাই বোনেরা এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করুন।

নেত্রী বলেছেন, আগামীতে বিজেপি ধুয়ে মুছে যাবে। সিপিএম মাইনাসে রান করছে। এদিন একুশে জুলাইয়ের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন কাউন্সিলর জয়গোপাল ভট্টাচার্য, মিহির দে, জেলা তৃণমূল নেতা তনয় দাস, দেবাশিস মিত্র, নিখিল মালো, নির্মিকা বাগচী প্রমুখ ।

সভাপতিত্ব করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা কাউন্সিলর সুমন কুমার দে।সুমন দে বলেন একুশে জুলাইকে সামনে রেখে দশটি পথসভা এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক মিছিল করার কর্মসূচি পালন করা হবে। সভায় সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন যুব তৃণমূল নেতা কৌশিক দত্ত গুপ্ত।