অবতক খবর,১৭ জানুয়ারি,বাঁকুড়া:- ২০০৮ সাল থেকে বন ও বন্যপ্রাণ রক্ষায় নিয়মিত কাজ করেও মেলেনি বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যপদ, মিলছে না জঙ্গলের লভ্যাংশও। প্রতিবাদে বিক্ষোভ ।

২০০৮ সাল থেকে লাগাতার ভাবে বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁরা রক্ষা করে চলেছেন স্থানীয় জঙ্গল। রক্ষা করে চলেছেন বন্য প্রানীও। কিন্তু নানা টালবাহানায় আজো মেলেনি বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যপদ। ফলে জঙ্গলের লভ্যাংশ থেকেও বঞ্চিত তাঁরা। এই অবস্থায় অবিলম্বে বন সুরক্ষা কমিটিতে তাঁদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সরব হলেন বাঁকুড়ার বাসুদেবপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা। বিক্ষোভ দেখানো হল বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক ও ডিএফও অফিসেও।

বাঁকুড়ার বাসুদেবপুর এলাকার চৌকান বীটের অন্তর্গত খড়িকাশুলি,  দু নম্বর ক্যাম্প, ভুলারডাঙা, বেনাচাপড়া, শিয়ালকোন্দা সহ বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক পরিবারের সদস্যরা  স্থানীয় বাসুদেবপুর দু নম্বর বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জঙ্গলরক্ষা করেন। যৌথ বন রক্ষা মডেলে সম্প্রতি জঙ্গলের লভ্যাংশ হিসাবে প্রায় ষাট লক্ষাধিক টাকা হাতে পায় বাসুদেবপুর দুনম্বর বন সুরক্ষা কমিটি। নিয়ম অনুযায়ী বন সুরক্ষা কমিটি ওই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবেন।

কিন্তু জঙ্গলরক্ষাকারী গ্রামবাসীদের একাংশ ওই টাকার ভাগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় খড়িকাশুলি,  দু নম্বর ক্যাম্প, ভুলারডাঙা, বেনাচাপড়া, শিয়ালকোন্দা সহ বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক পরিবারের দাবি ২০০৮ সাল থেকে তাঁরা জঙ্গল ও বন্যপ্রাণ রক্ষার কাজ করে এলেও নানা টালবাহানায় তাঁদের বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যপদ দেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করে আজ বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক ও ডিএফও অফিসে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বঞ্চিত পরিবারগুলি।

বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যপদ দ্রুত দেওয়া না হলে ও জঙ্গলের লভ্যাংশ দেওয়া না হলে সেক্ষেত্রে আগামীদিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বন দফতর জানিয়েছে বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মেনে দ্রুত বঞ্চিতদের সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।

তবে রক্ষা কমিটির সেক্রেটারি সুনীল হালদারের বলেন আমাদের 196 জনের কমিটি যারা বিক্ষোভ করছে তাদের প্রত্যেকের গার্জেন এর নাম আছে লিস্টে , যারা বিক্ষোভ করছে তারা এক একটি পরিবার থেকে 3-4 টি নাম দিয়ে একটি জটলার সৃষ্টি করছে, এমনকি যারা বলছে ডিউটি করেছে বলছে তারা দু-একটি দিন ছাড়া ডিউটি করে নি ।