এই তীব্র দাবদাহে কারা কবিতা লেখে?

হে সূর্যদেব
তমাল সাহা

এই নাও জ্যোৎস্না বলে
তোমার হাত ছুঁয়ে দিয়েছিলাম
এই নাও নক্ষত্রের চুম্বন বলে
তোমার আঁখি পল্লবে স্থাপন করেছি ওষ্ঠাধর
এই নাও উষ্ণতা বলে
যখন মুখ লুকিয়েছি তোমার বুকের উপত্যকায়
তখন তুমি বলেছিলে আগুন কোথায়?

যে মার্তণ্ড থেকে রৌদ্রালো নিয়ে
তোমাকে চান্দ্রবাসরে জ্যোৎস্না দিয়েছিলাম
তাতে উষ্ণ হয়েই তুমি বলেছিলে, কোথায় আগুন?
আগুন দাও।
এই নাও সেই আগুন!

তুমি ভারতীয় মহাকাব্য পড়েছ লঙ্কা দহন-খান্ডব দাহনের উত্তাপের কাছ থেকে কিছুই শেখোনি

এই প্রখর দাবদাহে ঝলসানো তোমার শরীর এখন অগ্নিকন্যা হয়ে আছে
তোমাকে চন্দ্রিমা বলে ডেকেছিলাম
চাঁদের সব জ্যোৎস্না তোমার শরীর থেকে গলে যায়!

সূর্যের দিকে তাকিয়ে বলো,
আর আগুন চাইনা আমার!
চাঁদকে ভালবাসি বলে কতোই না অহংকার দেখিয়েছিলে তুমি!
এবার সূর্যের ক্ষাত্রতেজের কাছে অবনত হও
বলো ক্ষমা চাই, প্রিয়েষু
চন্দ্রের লালিত্য চাইনা আর
আমি এখন তোমার কাছে নতজানু
আমাকে সূর্যমন্ত্র শেখাও
আমাকে শুদ্ধ করো হে দেবতা!