গণগায়ক হেমাঙ্গ বিশ্বাস
বীজপুরের মাটিতে পা রেখেছিলেন। চারুচিত্র মন্দির সিনেমা হলে গণকন্ঠের প্রথম বার্ষিক অনুষ্ঠানে একের পর এক গণসঙ্গীত পরিবেশন করে আসর মাতিয়ে তুলেছিলেন। এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ড. বাঁধন সেনগুপ্ত, সাহিত্যিক সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মলয় মুখোপাধ্যায় প্রমুখ

হেমাঙ্গের প্রতি
তমাল সাহা

এক)
সুরমা নদীর গাঙচিল

সুরমা নদীর গাঙচিল তুমি
কোথায় গেলা
আকাশের গাও ছুঁইয়া!
পদ্মা নাওয়ের মাঝি তুমি
ভাটিয়ালি যাও গাইয়া।

আন্ধার কইরা গেলা তুমি
আমাগো কোন গঞ্জে থুইয়া!
পারানি তুমি আইসো একবার
জীবনটারে দাও নাচাইয়া!

২)
গণকণ্ঠ

পরমাণু বিধ্বস্ত মানব প্রাণ
তুফান তুলেছে তোমার শঙ্খচিলের গান।
একটি গানে সমগ্র বিশ্ব মাত
কণ্ঠ কতদূর যেতে পারে, যায়…
বিরল দৃষ্টান্ত, তোমার তফাৎ।

রাষ্ট্র, রাজনীতি যখন চাতুরালি
তখন তুমি মানুষের অনেক কাছে
গেয়েছো গণসংগীত,লোকগান, ভাটিয়ালি।

কে বলে হেমাঙ্গ তুমি,
তুমিতো প্রোজ্জ্বল দূর্বার দুরন্ত অঙ্গার!
তুমি সংশপ্তক চারণ
আমাদের জীবনের অহংকার।

৩)
উত্তাল

আমাদের সংগ্রাম
আমাদের জীবন
আমাদের উচ্চারণ
আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস
হেমাঙ্গ বিশ্বাস!
তার গণগানে আজও উত্তাল
আকাশ বাতাস।