অবতক খবর, সংবাদদাতা, হুগলি ::  শুক্রবার সকালে হুগলি জেলা শাসকের কাছে একটি ডেপুটেশন দিল হুগলীজেলার বেশ কিছু সঙ্গীত শিল্পীরা।করোনা পর্বে কাজ নেই স্থানীয় সঙ্গীত শিল্পী থেকে যন্ত্র শিল্পীদের।ইতি মধ্য কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকার লক ডাউন শেষে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হলেও বন্ধ বিভিন্ন বিচিত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।বন্ধ হোটেলের পানশালা।তাই বন্ধও গান বাজনা।

সরকারিভাবে শিল্পীদের উদ্যেশে নির্দেশিকা থাকলেও বর্তমানে আসন্ন শারদীয় উৎসবে তেমনভাবে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।যার ফলে সঙ্গীত থেকে যন্ত্র বাজানোর শিল্পীদের বন্ধ হয়ে গেছে রোজগারের রাস্তা।এক প্রকার জীবন কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

 

বর্তমানে সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী শিল্পীরা 50 জন নিয়ে অনুষ্ঠান করতে পারবে বলে জানিয়েছিলেন। এই ঘোষণার ফলে একটু আশার আলো দেখেছিলেন সংগীতশিল্পীরা কিন্তু আসন্ন শারদীয়া তে যে সমস্ত ক্লাব গুলি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন, তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে এবারে কোনরূপ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর ফলে আবারও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সংগীত মহলের শিল্পীরা।

এমনি এক শিল্পীর দাবি,আগে আমরা প্রতিদিনই প্রায় স্টেজ পোগ্রাম করতাম।কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের আর সংসার চলছে না।এমনই নানান দাবি নিয়ে হুগলি জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকরের কাছে শুক্রবার তাদের গানের মঞ্চ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে শুক্রবার কয়েকশো সঙ্গীতশিল্পী সহ যন্ত্রশিল্পী সকলেই ডেপুটেশন দিলেন।

এক মহিলা সঙ্গীত শিল্পীর কথায় করোনা আবহে প্রশাসন বিয়ে বাড়ি বা অনুষ্ঠান বাড়ি গুলিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পঞ্চাশ জনের ছাড়পত্র দিয়েছে।সেই নিয়মেই শিল্পীদের বিচিত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি দিলে খুব ভালো হয়।তা নাহলে উপার্জনহীন হয়ে শিল্পীরা না খেয়ে মরে যাবে।