অবতক খবর,১৬ আগস্টঃ হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি হলেন রঞ্জন ধারা।সহ সভাপতি কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা।আজ চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে হয় নব নির্বাচিত সদস্যদের শপথ হয়।শপথ বাক্য পাঠ করান হুগলি জেলা শাসক পি দীপাপ প্রিয়া।শপথ শেষে হয় বোর্ড গঠন।হগলি জেলা পরিষদের ৫৩ জন সদস্য।তৃনমূলের ৫১ জন।বিজেপির দুই জন।খানাকুল থেকে জয়ী বিজেপির সুশান্ত ঘোষ অনুপস্থিত ছিলেন শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে।

রঞ্জন ধারা ২০১৩ সাল থেকে টানা তিন বার হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য।কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা আরামবাগের প্রাক্তন বিধায়ক। এবারই প্রথম জেলা পরিষদে নির্বাচিত।

রঞ্জন ধারা সভাধিপতি হওয়ায় অবাক হয়েছেন অনেকেই।এবার পঞ্চায়েত ভোটে তৃনমূলের তিনজন প্রাক্তন বিধায়ক জিতেছেন।পান্ডুয়া থেকে জেতেন মানস মজুমদার,বলাগড় থেকে জেতেন অসীম মাজি ও আরামবাগ থেকে জেতেন কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা।আরামবাগ সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বোন শতরূপা পোদ্দার আরামবাগ থেকে নির্বাচিত হন।তিনিও দাবীদার ছিলেন গোঘাট থেকে নির্বাচিত অরুন কেওড়ার নাম শোনা যাচ্ছিল।তবে সবাইকে পিছনে ফেলে নতুন সভাধিপতি করা হয় রঞ্জন ধারাকে।শপথ নিয়ে হুগলির নতুন সভাধিপতি বলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার উপর আস্থা রেখেছেন।সেই আস্থার মর্যাদা রাখবেন।রাস্তা ঘাট অনেক হয়েছে জেলায়।পানীয় জলের কিছু সমস্যা আছে তা দূর করতে হবে।

রঞ্জন ধারা সভাধিপতি হওয়া অপ্রত্যাশিত কিনা এ প্রশ্নে সপ্তগ্রাম বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন,তৃনমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা।তিনি যাকে চেয়েছেন সেই সভাধিপতি হয়েছে।রঞ্জন সভাধিপতি হওয়ায় এটা প্রমান হয় নেত্রী একদম নীচুতলার খবর রাখেন।।।