অবতক খবর : হালিশহর ৫ নম্বর ওয়ার্ড ফাঁসিতলা সংলগ্ন কালিবাড়ি থেকে একটু এগোলেই একটি ছোট ডোবা দেখা যেত। দীর্ঘ বছর সেখানে ডোবাটি ছিল। কিন্তু আজ দেখা গেল রাতরাতি সেটি ভরাট করে ফেলেছে জমি মাফিয়ারা। তবে সেটি কার জমি,কে ভরাট করছে তা এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় মানুষের চোখে পড়তেই বিষয়টি তারা তৃণমূল পার্ষদ বাসুদেব বাবুকে জানান। তখন তিনি সরেজমিনে সেখানে আসেন এবং জানান, এই বিষয়ে তাকে কোনোভাবেই অবগত করা হয়নি।

তিনি বলেন,এই জমিটি যদি সত্যিই ডোবা বা জলাশয় হয়ে থাকে তবে নথিপত্র সঠিক থাকলেও সেটি কোনভাবেই ভরাট করা যাবে না। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন,কোন ব্যক্তি যদি কোন জলাশয়ের মালিক হন এবং তিনি যদি পাঁচ বছর সেই জলাশয়ে মাছ চাষ করেন এবং পরবর্তী পাঁচ বছর চান সেটি ভরাট করে জমিতে পরিণত করবেন, তা হয় না।

হালিশহরের পৌর পার্ষদ বাসুদেব বাবু সেই সঙ্গে তিনি জানান, কোন জলাশয় ভরাট করতে গেলেও জলাশয়ের সঠিক নথিপত্র থানা প্রশাসনকে দেখাতে হবে। কিন্তু এরপরেও কতগুলি পদ্ধতি রয়েছে। যে পদ্ধতি অনুসরণ করে উচ্চ আধিকারিকরা ঠিক করবেন যে সেই জলাশয় ভরাট করা যাবে কি যাবে না। তবে ওই যে জলাশয় ভরাট হচ্ছে তার মালিক কে? আর কারাই বা ভরাট করছে তা এখনোও জানা যায়নি। এর পাশাপাশি বাসুদেব বাবু এও জানান যে, কোন নথিপত্রও তার কাছে আসেনি। ‌তিনি উল্লেখ করেন, যদি ওই জলাশয়ের নথিপত্র সব ঠিক থাকে তবে রাতের অন্ধকারে কেন সেটি ভরাট হচ্ছে? দিনে করা হচ্ছে না কেন? তবে বাসুদেব বাবুর হস্তক্ষেপে আপাতত ভরাটের কাজ বন্ধ রয়েছে।

সেই সঙ্গে তিনি বিষয়টি থানা প্রশাসনকেও জানিয়েছেন। সঠিক পদ্ধতি এবং সঠিক নথিপত্র জমা পড়লে তবেই এই ভরাটের কাজ এগোবে। এছাড়াও তদন্ত করে দেখা হবে কে বা কারা এই ভরাটের কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। কারণ থানা প্রশাসন এবং পৌর প্রশাসনকে না জানিয়ে এই ভরার চলছিল।

উল্লেখ্য, হালিশহর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বনানী চক্রবর্তী এখন বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তৃণমূল কাউন্সিলর বাসুদেব বাবু অভিযোগ করেছেন, সেই কারণেই তিনি এখন নিজের ওয়ার্ডে নজরদারি করছেন না। আপাতত ভরাটের কাজ বন্ধ রয়েছে।