অবতক খবর,২৮ জানুয়ারি: গতকাল বিকেল চারটে নাগাদ হাজিনগর কোনা মোড়ে জগন্নাথ ঘাট সংলগ্ন অঞ্চলে যে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল,তাতে জানা গেছে যে,দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনো দুজন নিখোঁজ। তাদের বয়স আনুমানিক ১৮-২২।

তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই অঞ্চলে বসবাস করে সাংসদ অর্জুন ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা বিট্টু জয়সওয়াল। যেহেতু ওই অঞ্চল জুড়ে তাঁর এবং তাঁর আত্মীয়দের বসবাস, সেই কারণে ওই অঞ্চলের তেমন কেউ প্রবেশ করে না। এছাড়াও সেখানে যে জগন্নাথ মন্দির রয়েছে, সেটিও বিট্টু জয়সওয়ালের আওতাধীন ছিল। সেই কারণে আশেপাশের মানুষ সেখানে যেতেন না।

সূত্রের খবর এই বোমা বিস্ফোরণের পেছনে সরাসরি যোগ রয়েছে এই বিট্টু জয়সওয়ালের। কারণ ঘটনার পর থেকেই বিট্টু জয়সওয়াল পলাতক ছিল। পরবর্তীতে রাত আটটা নাগাদ জগন্নাথ ঘাট সংলগ্ন যে জঙ্গল রয়েছে সেখানে লুকিয়ে ছিল। এলাকাবাসীরা তাকে ধরে গণধোলাই দেয়। ‌

ঠিক সেই সময় ঘটনাস্থলে যান বীজপুরের যুব নেতা কমল অধিকারী এবং হালিশহরের মুখ্য প্রশাসক রাজু সাহানী।‌ বিট্টু জয়সওয়ালকে কমল অধিকারী এবং রাজু সাহানি মিলে জনরোষের হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এই ঘটনার জেরে পায়ে গুরুতর চোট পান কমল অধিকারী।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা চাইনা আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিক। প্রশাসন তাদের কাজ করবে। গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। প্রশাসনিক স্তরে দোষীরা যথোপযুক্ত শাস্তি পাবে। আমরা বদলার রাজনীতি করি না। সেই কারণেই জনরোষের হাত থেকে অভিযুক্তকে ছাড়াতে গিয়ে আমার পায়ে গুরুতর চোট লেগেছে।”