অবতক খবর , রাজীব মুখার্জী, হাওড়া ::    হাওড়ায় ক্রমশ উর্ধমুখী হয়ে চলেছে কোরোনা আক্রান্তের গ্রাফ। যা চিন্তার ভাঁজ ফেলছিল রাজ্য তথা জেলা প্রশাসনের কপালে। পরিযায়ী শ্রমিক ফেরার পর হাওড়া গ্রামীনেও কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে লকডাউনের বিধি নিষেধ অগ্রাহ্য করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে শহর জুড়ে।

এমতাবস্থায় সচেতনতা বাড়াতে কনটেন্টমেন্ট জোনে প্রচারই একমাত্র হাতিয়ার প্রশাসনের কাছে। তাই আক্রান্তের সংখ্যা ও জায়গার বিচারে আবার বাড়ল কনটেন্টমেন্ট জোনের সংখ্যা। রাজ্য সরকার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে ৯২ টি জায়গাকে কনটেন্টমেন্ট হিসাবে চিহ্নিত করা হলো রাজ্য প্রশাসনের তরফে। আর এই একটি কনটাইনমেন্ট জোন বাড়ানো কে কেন্দ্র করে রাজনীতির অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে।

এই প্রসঙ্গে হাওড়া সদর বিজেপির সভাপতি সুরজিৎ সাহা জানান তিনি যে এলাকায় থাকেন সেখানে কোনো কোভিড-১৯ রোগী আগেও ছিল না এখনও নেই। তবু আজ সকাল থেকে প্রশাসন তার বাড়ির রাস্তাকে কনটেন্টমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করেছে। শুধু তিনি নন মধ্য হাওড়া মন্ডল-২ এর সভাপতির বাড়ির রাস্তাও একইভাবে কনটাইন্টমেন্ট জোনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এর পেছনে রাজ্যের শাসক দলের হাত রয়েছে। তিনি দাবি করেন এই করোনা আবহে তিনি ও তার দল যেভাবে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছেন। তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তারে শাসক দল ভয় পাচ্ছে। সেই কারণেই তিনি যাতে বাড়ির বাইরে বেরোতে না পারেন তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরো দাবি করেন এইসব করে তাকে আটকানো যাবে না। তিনি আগের মতোই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবেন ও তাদের পাশে দাঁড়াবেন।

প্রসঙ্গত, পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফেরার পর থেকেই হু হু করে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ব্যতিক্রম নয় হাওড়াও। এই মুহূর্তে যে জেলার স্থান তৃতীয়, অর্থাৎ কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার পরেই। শেষ ২৪ ঘন্টা থেকে হাওড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১৭ জন। এর ফলেই সবমিলিয়ে বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫৫০ জন। মৃতের সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ২৪৩ জন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে শুধুমাত্র হাওড়া জেলা থেকেই।

এবার নতুন করে রাজ্য তথা জেলায় সাপ্তাহিক লকডাউন চালুর হওয়ার আবার বাড়ানো হল কোনটাইন্টমেন্ট জনের সংখ্যা। পাশাপাশি নতুন লকডাউন চালু হওয়ার পরেও সংক্রমনের হারের উপরে আসে নি এখনো কোনো নিয়ন্ত্রণ। শুধু তাই নয় সংক্রমিত এলাকায় অর্থাৎ কোনটাইন্টমেন্ট জোনের আওতায় থাকা রাস্তাগুলি ব্যারিকেড দেওয়া থাকলেও পুলিশি প্রহরা নেই। ফলে ফাঁক গলে অবাধ যাতায়াত রয়েছেই।

এভাবে কি আদেও আটকানো সম্ভব উর্ধমুখী সংক্রমণ সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এই কোনটাইন্টমেন্ট জোন বাড়ানোর পেছনে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ওঠা রাজনৈতিক অভিযোগ বিষয়ে হাওড়া সদরের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও সমবায় মন্ত্রী জানান এইটা মন্তব্য করার মতো কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।