অবতক খবর , রাজ্ , হাওড়া :- এর আগে ওই দুই নেতার আলাদা আলাদা ছবি হাওড়া শহর ও গ্রামীণ দুই এলাকাতে পোস্টার পড়লেও, এই প্রথম দুজনের ছবি ব্যবহৃত পোস্টার পড়লো। পোস্টারে লেখা আছে দাদারা তোমরা এগিয়ে চলো , আমরা তোমার সাথে আছি। সৌজন্যে আমরা দাদার অনুগামী। বর্তমানে ওই দুই নেতা একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে প্রকাশে ক্ষোভ প্রকাশ করায় এই পোস্টার অন্য রাজনৈতিক মাত্রা পেয়েছে। পোস্টারে কোথাও তৃণমূল দলের নাম ও চিহ্ন ব্যাবহার করা হয় নি। তাই দলের অভ্যন্তরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ওই দুই নেতা কি অন্যকোন রাজনৈতিক সমীকরণের জন্ম দিচ্ছে। এই নিয়ে ক্রমশই জল্পনা বাড়ছে। আজকে তৃণমূলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার হাওড়ার দাস নগরে বঙ্গ জননীর সম্মেলনে আসেন। এই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি গুরুত্ব দিতে চান নি।

তিনি বলেন টাকা থাকলে পোস্টার মারা যায়। দলের কিছু ভুঁইফোড় নেতা এইসব কাজ করছে। তাতে লাভ হবে না। নাম না নিয়ে এই দুই নেতাকে উদেশ্য করেই তিনি বলেন নাম ও নেতা হিসেবে পরিচয় সব ই তৃণমূলের থাকার জন্য। তৃণমূলের বাইরে গেলে ওনাদের কোনো পরিচয় নেই। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন এঁরা দল ছেড়ে চলে গেলেও দলের কোনো ক্ষতি হবে না।
এদিকে বিজেপির হাওড়া সদরের সভাপতি সুরজিৎ সাহা কটাক্ষ করে বলেন হাওড়া শহরে শাসক দলের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে। সেটা কত শতাংশ কাটমানির টাকায় এই পোস্টার তা তারা জানেন না। তবে তারা কি কারণে এই পোস্টার মারছে এটা তৃণমূলের লোকেরাই বলতে পারবে। তিনি জানেন না। পাশাপাশি তিনি আরো দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার সারা রাজ্যে পড়েছে তাতে সারদার কতো টাকা খরচ হয়েছে সেটা মানুষ বুঝে নেবে।