অবতক খবর,১৭ অক্টোবরঃ হাওড়ার মন্দিরতলা কৈ পুকুর এলাকা থেকে উদ্ধার কয়েক কোটি টাকা।এলাকাবাসীদের বিক্ষোভ উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে।

আবারো টাকা উদ্ধার হল হাওড়া কোই পুকুর লেনে। কলকাতার গোয়েন্দা বিভাগের এন্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড টিমের সদস্য রা অফিসার ও হাওড়া শিবপুর থানায় পুলিশ রাত যৌথভাবে আবার তল্লাশি চালায় একটি আবাসনে। প্রাথমিকভাবে জানা যায় হাওড়ার শৈলেশ পান্ডের ও তার ভাইয়ের বাড়ি রোহিত পান্ডে তার বাড়িতে ছাপা মেরে উদ্ধার করা হয় পাঁচ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা এবং সোনার গয়না। উদ্ধার করে নিয়ে যাবার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা খোবে ফেটে পড়ন তবে শিবপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি শ্যামল দেন।

এই ঘটনায় আনুমান পাঁচ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা আবার উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্রে মারফত। ফেরার শৈলেশ পান্ডের মন্দিরতলা কৈ পুকুর এলাকার আবাসন থেকে।

উল্লেখ্য হাওড়া থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমানে টাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগ অনেক লোককে লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণায় জড়িত ছিল ওই ব্যক্তি। ফেরার ওই ব্যবসায়ীর নাম শৈলেশ পান্ডে বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। তার আবাসনে হানা দেওয়ার আগেই ফেরার শৈলেশ পান্ডে ও তার পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সূত্রের খবর হাওড়ার শিবপুরের ‘রিভার ডেল’-নামে আবাসনের বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীর আবাসনে রাখা সুজুকি গাড়ি থেকে উদ্ধার দু কোটি কুড়ি লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা।উদ্ধার হয়েছে সোনা রুপা ও হীরের গহনা। বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়ির নম্বর wb 12 c 7751। কলকাতা হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী শৈলেশ পান্ডের গাড়ি থেকে এই বিপুল পরিমানে অর্থ উদ্ধার করে। একটি রাষ্ট্রয়ত্ব ব্যাঙ্কের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানা এই ২ কোটি নগদ ও বেশ কিছু সোনা হীরে উদ্ধার করে বলেই পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে।

যদিও ঘটনার পর থেকে শৈলেশ পান্ডে ও তার পরিবারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাড়ির গেটের রক্ষীও এই বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারেন নি। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন আগে কানাড়া ব্যাংকের তরফ থেকে লালবাজারে একটি অভিযোগ জানানো হয় যে একটি একাউন্টে বিপুল পরিমাণে কোটি কোটি টাকা ট্রানজাকশন হচ্ছে। এরপর লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের এন্টি ব্যাংক ফ্রড টিমের সদস্যরা তদন্ত শুরু করেন তদন্ত তে প্রথমে দেখা যায় বিপুল পরিমাণে টাকা ট্রানজাকশন করা হচ্ছে ওই অ্যাকাউন্টটিকে ফ্রিজ করে দেয়া হয়। এরপরই ওই ব্যাঙ্কের তরফ থেকে শৈলেশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা করা হয় ও মামলা দায়ের হয় এই শৈলেশ পান্ডের নামে। যদিও ওই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল শৈলেশ পান্ডে। আর সেই মামলার সূত্রে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল টাকা ও সোনা হীরে উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশ।

যদিও এই ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।হেয়ার স্ট্রীট থানা নির্দিষ্ট কেসের ভিত্তিতে আসে।শিবপুর থানার পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালায়। এই ঘটনা তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অ্যান্টি ব্যাংক ফর টিমের সদস্যরা। গত ১৪ই অক্টোবর একটি অভিযোগ জানানো হয়। তদন্ততে উঠে আসে ওই একাউন্টের মালিকের সঙ্গে শৈলেশ পান্ডে নামে এক ব্যক্তি যিনি পেশায় চাটার্ড একাউন্টেন্ট তার নাম সামনে আসে। পর তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা গত পরশু রাত হাওড়া তার বাড়িতে হানা দেন যদিও তার বাড়িতে তালা বন্দী থাকে ও পার্কিংয়ে রাখা গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দু কোটি ২১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সোনা ও রুপোর গয়না সহ হীরের গয়না সমস্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনা এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারিনি তারা পলাতক রয়েছেন গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত শৈলেশ পান্ডের পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে তিনি বহুদিন আগে একটি ব্যাঙ্কে এক ব্যক্তিকে পরিচয় করিয়েছিলেন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য। তারপর থেকে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আর কোনরকম কোন সম্পর্ক নেই। এতদিন পড়ে কেন তাকে এই ঘটনায় জড়ানো হয়েছে পরিবারের লোকেরা বুঝে উঠতে পারছেন না। ক্রেন দিয়ে বাজেয়াপ্ত গাড়িটিকেও নিয়ে যায় পুলিশ আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত কয়েক মাস আগে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি। এরপর গার্ডেনরিচের এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েও খাটের তলা থেকে কোটি কোটি উদ্ধার করেছিল সেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটই। গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকাতে। এছাড়াও কয়েকদিন আগে মালদহ ও নৈহাটি স্টেশন থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। আর এবারে সেই তালিকাতে নাম লেখালো হাওড়া।