অবতক খবর,২৪শে ডিসেম্বর: উল্লেখযোগ্য একটি ধাক্কা খেলো মমতা সরকার। মা-মাটি-মানুষের সরকারের উপর এই ধাক্কাটি দিলেন মহামান্য হাইকোর্ট। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসার সেরা হাসপাতাল বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি পরিদর্শন করেন ২৬শে মে। মুখ্যমন্ত্রী সদর হাসপাতালে ঢুকে যখন পরিদর্শন করেন তখন বিআই এন-এর তৎকালীন ডিরেক্টর শ্যামাপদ গড়াই মুখ্যমন্ত্রীকে সরিসরি বলেন, এভাবে হঠাৎ ঢুকে পড়লে মানুষের পরিষেবায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ গড়াইকে সচিবালয়ে দেখা করতে বলেন। তিনি বলেন,তাঁর কিছু অস্ত্রোপচার রয়েছে।

২৬শে মে রাতেই কোনো প্রাথমিক অনুসন্ধান ছাড়া নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ডাঃ গড়াইকে সরকারিভাবে সাসপেনশনের চিঠি পাঠানো হয়। ২০১২-র জানুয়ারিতে চার্জশিট পেশ করে তদন্তকারী অফিসারের সামনে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়।দশদিনের মধ্যে অভিযোগ অস্বীকার করে ডাঃ গড়াই জানান, তিনি কোন অসুবিধার সৃষ্টি করেননি।

২০১৮-র মার্চে তিনি অবসর নেন। সাত বছর ধরে তিনি পূর্ণ বেতন পাননি এবং তাঁর পেনশনও চালু হয়নি। ফলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্য, শামীন আহমেদ,অর্ক মাইতি ও ডোনা ঘোষ। মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চ ডাঃ গড়াইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত খারিজ করে দেন এবং সুদসহ বকেয়া মিটিয়ে অবিলম্বে পেনশনদানের নির্দেশ দেন সরকারকে। বিরোধী রাজনৈতিক দলেরা মনে করছে রাজ্য সরকারের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এটা একটা বিশাল ধাক্কা।