অবতক খবর,২৯ এপ্রিল: নদীয়ার চাকদহ এবং হরিণঘাটা বিধানসভা জুড়ে চলছে বেআইনিভাবে পুকুর কাটা এবং পুকুর ভরাট। এমনই অভিযোগ তুলেছেন এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ডাম্পার বোঝাই হয়ে বেআইনিভাবে মাটি পাচার হয়ে যাচ্ছে বিশেষ কিছু অঞ্চল থেকে। আর এই চক্রের পেছনে রয়েছে সেখানকারই কিছু মাটি মাফিয়ারা, এমনই অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। রাতের অন্ধকারে,এমনকি দিনের আলোতেও প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে দিনের পর দিন চলছে এই কাজ।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান,দিনের আলোতে তো বটেই, রাতে যেভাবে মাটির গাড়ি এই অঞ্চল দিয়ে যাচ্ছে তাতে তাদের রাতের ঘুম মাথায় উঠেছে।
তবে এ ব্যাপারে মুখ খুললেই মাটি মাফিয়াদের গুন্ডাবাহিনী রীতিমতো প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে হরিণঘাটার যে অঞ্চলে এই মাটি কাটা চলছে সেখানে গতকাল অবতক-এর প্রতিনিধি।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে তিনি সরাসরি কথা বলেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে, পুলিশ প্রশাসন, পঞ্চায়েত প্রধান এই ব্যাপারে নাকি কিছুই জানেন না।

এরপর এই বিষয়টি নিয়ে আমরা পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিএলআরও অফিসে যোগাযোগ করলে তাদের কাছ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

তবে এখন প্রশ্ন,সত্যিই কি প্রশাসন কিছু জানেনা,নাকি সব জেনেই না জানার ভান করে আছেন তারা?
স্থানীয়দের মধ্যেই দু’একজন বলেছেন যে, প্রশাসনের ঘরে তো এই মাটি মাফিয়ারা নিয়ম করে মোটা অংকের অর্থ পৌঁছে দিচ্ছে,যারফলে সব জেনেও কুলুপ এঁটে বসে আছেন তারা।

নদীয়া এবং হরিণঘাটার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চলছে এই মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। শুধু তাই নয়, হরিণঘাটা বিধানসভা অঞ্চল এখন হয়ে উঠেছে অবৈধ কার্যকলাপের আঁতুরঘর। সন্ধ্যে হলেই হরিণঘাটার বিভিন্ন বাজারে বেআইনিভাবে মাদক এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রয় করা হয়। কিন্তু তবুও চোখ বন্ধ প্রশাসনের। অন্যদিকে প্রশাসনের এই নিস্ক্রিয়তা দেখে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ।

উল্লেখ্য, গতকাল খবর করতে গিয়ে মাটি মাফিয়াদের পোষা গুন্ডারা আমাদের অবতক-এর প্রতিনিধিকেও হুমকি দেয়।