আজ হনুমান জন্মজয়ন্তী। আমার একনিষ্ঠ প্রণাম বজরংবলীর প্রতি
হনুমানেষু
তমাল সাহা
গদাহাতে মল্লবীর বজরংবলী পবননন্দন
আজ তার জন্মদিন জানাই অভিনন্দন।
গন্ধমাদন পর্বত হাতে যেন উড়ন্ত বিমান
রাম লক্ষ্মণ স্কন্ধে সুদূর অক্লান্ত অভিযান।
লাঙ্গুলে অগ্নি লঙ্কাদহনে পোড়ায় নিজের মুখ
কেমন আছে অশোকবনে মা সীতা জানিতে উন্মুখ।
ভক্তপ্রাণ সে বক্ষ বিদীর্ণ করি দেখায় রামসীতা
অষ্টতর শতনাম তার তোমরা জানো কি তা?
কদাকার হলেও শক্ত তার চোয়াল
সব হনু হনুমান নয়, রাখিও খেয়াল।
বানর সুগ্রীবে প্রভেদ রাখি আগে হনুমান
সারা দেহে মেটে সিঁদুর মাখিয়া করে লম্ফ প্রদান।
নেংটি পরিয়া শরীর চর্চা করে ব্যায়ামবীর
কুস্তির আখড়ায় মূর্তি তাহার বিশাল প্রবীর।
তাহাকে স্মরণ করিয়াই বিপ্লবীদের দেশপ্রেম জাগে
সিমলা থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার,কুস্তির আখড়া আগেভাগে।
ভারতবর্ষের গাঙ্গেয় উপত্যকা মহান
হনুর বরাতে জুটিয়া গেল রাষ্ট্রীয় সম্মান!
আজ তার জন্মজয়ন্তী মহামিছিল গদাধর কাহিনী
আগে চলে বজরংবলী সঙ্গে চলে রাষ্ট্রীয় বাহিনী।
জয় শ্রীরাম! জয় বজরংবলী! স্লোগানে মুখরিত আকাশ বাতাস
একবিংশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষ লিখিল নয়া ইতিহাস।
রামায়ণে হনুমান পড়ি আমি, হনুমানীর কোনো কথা নাই
আমার বাড়িতে ঘন ঘন বুকে লয়ে ছা হনুমানীর দেখা পাই।
আমি ও কবিতা প্রায়শই হনুমান হনুমানী দেখি
আয়নার সামনে দাঁড়াই, মেলে কিনা পূর্বজদের প্রতিকৃতি!
হে পবনন্দন স্তুতিতে বন্দনায় যদি ভুল থাকে কিছু
নিজ গুণে করিও ক্ষমা, মাথা করিয়া আছি নিচু!